‘শনিবার বিকেল’র জন্য ১৫ দিন কেঁদেছি: মামুনুর রশীদ

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয় শিল্পী মামুনুর রশীদ ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি প্রায় ৪ বছর আটকে থাকার পর এখন মুক্তি দিতে বাঁধা নেই জেনে তিনি ভীষণ খুশি।
শনিবার বিকেল
মামুনুর রশীদ। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয় শিল্পী মামুনুর রশীদ 'শনিবার বিকেল' সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সিনেমাটি প্রায় ৪ বছর আটকে থাকার পর এখন মুক্তি দিতে বাঁধা নেই জেনে তিনি ভীষণ খুশি।

তার কথায়, 'আমি আনন্দিত। মহা আনন্দিত। অবশেষে "শনিবার বিকেল" মুক্তির মিছিলে আছে। আশা করছি, শিগগিরই মুক্তি পাবে।'

মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর পরিচালনায় 'শনিবার বিকেল' সিনেমায় মামুনুর রশীদ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ধানমন্ডির বাসায় বসে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই "শনিবার বিকেল" সিনেমার জন্য ১৫ দিন কেঁদেছি। অনেক কাঁদতে হয়েছে আমাকে।'

তিনি আরও বলেন, 'চরিত্রটি নিয়ে পুরোপুরি বলা যাবে না। এটুকু বলতে পারি, যে চরিত্রটি আমি করেছি, তা করার জন্য আমাকে ১৫ দিন কাঁদতে হয়েছে।'

'এটা একটা ওয়ান শট ফিল্ম। অনেক প্রস্তুতি নিয়ে অভিনয় করেছি। অনেক প্রত্যাশা "শনিবার বিকেল"কে নিয়ে,' যোগ করেন তিনি।

'আমার একটি দৃশ্য আছে যা কিনা এদেশের সব অভিভাবককে ভাবাবে। এদেশের সব অভিভাবকদের হয়ত স্পর্শ করবে, আমার বিশ্বাস। সে জন্য ১৫ দিন কাঁদতে হয়েছে।'

সিনেমায় কি সেন্সর থাকা উচিত?—জবাবে মামুনুর রশীদ বলেন, 'থাকা উচিত না। সারা পৃথিবীতে চলছে  সাটিফিকেশন। দর্শকদের বয়স বলে দেওয়া হয়। সাটিফিকেশন থাকা উচিত।'

আরণ্যক নাট্যদলের জন্য অনেক ব্যস্ত সময় পার করছেন মামুনুর রশীদ। নিজের নাট্যদলটির ৫০ বছর পূতি উদযাপন উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী উৎসব হবে।

এ প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন, '২৬ বছর বয়সে "ওরা কদম আলী" নাটকটি লিখেছিলাম। এটি অনেক প্রশংসিত হয়েছিল। এই উৎসবে এর মঞ্চায়ন হবে।'

পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, 'আরণ্যক যাদের নিয়ে শুরু করেছিলাম তাদের অনেকেই বেঁচে নেই। যেমন, আলী যাকের নেই, ড. ইনামুল হক নেই, সুভাষ দও নেই। আশির দশক থেকে আমার সঙ্গে ছিলেন মান্নান হীরা, তিনিও নেই।'

সবশেষে তিনি বলেন, 'আরণ্যক নাট্যদলের ৫০ বছর উদযাপনে সবার ভালোবাসা চাই।'

Comments