কলকাতায় চঞ্চল চৌধুরীর হ্যাট্রিক
তৃতীয়বারের মতো কলকাতায় পুরস্কার পেলেন ২ বাংলার সাড়া জাগানো অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। এবার 'হাওয়া' সিনেমার জন্য সেখানে টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি।
এর আগে 'আয়নাবাজি' ও 'দেবী' সিনেমার জন্য এই পুরস্কার পেয়েছেন 'মনপুরা'খ্যাত এই অভিনেতা।
বর্তমানে ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছেন তিনি। গতকাল রোববার রাতে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন চঞ্চল।
চঞ্চল চৌধুরী কলকাতা থেকে মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন আজ বিকেলে। তিনি বলেন, 'পুরস্কার প্রাপ্তি অবশ্যই আনন্দের এবং সেটা যদি হয় নিজ দেশের বাইরে তাহলে আনন্দটা আরও বেড়ে যায়।'
চঞ্চল চৌধুরী আরও বলেন, 'এই পুরস্কার ২ বাংলার শিল্পীদের মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি করেছে। এটা খুব ইতিবাচক দিক।'
এবার নিয়ে ৩ বার টেলিসিনে পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে 'হাওয়া' সিনেমার চান মাঝিখ্যাত অভিনেতা বলেন, 'যেকোনো ভালো কাজের স্বীকৃতিই ভালো লাগার। আমারও লাগছে। আয়নাবাজি ও দেবী সিনেমার জন্য এই পুরস্কার পেয়েছি। তৃতীয়বার পেলাম হাওয়ার জন্য।'
বাংলাদেশে চঞ্চল চৌধুরী ব্যাপক জনপ্রিয় সব বয়সী দর্শকের কাছে। তার এই সুনাম ও দর্শকপ্রিয়তার ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে ওপার বাংলাজুড়েও। বিশেষ করে ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে কলকাতা শহরে এবং পশ্চিমবঙ্গে তার অনেক ভক্ত রয়েছে।
ওপার বাংলার মানুষের ভালোবাসার প্রশ্নে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, 'দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কলকাতায় মানুষের ভালোবাসা পাওয়া আমার দেশের জন্যই পজিটিভ দিক, সেইসঙ্গে আমার জন্যও। এটাকে আমি খুব সুন্দরভাবে দেখি। আর একজন শিল্পীর জন্য মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় তো আর কিছু নেই।'
হাওয়া নিয়ে এখনো আলোচনা হয়। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'হাওয়া সিনেমার পালে বড় হাওয়া লেগেছিল। সেই হাওয়া এখনো আছে, এটাই বড় কথা। বাংলাদেশের সিনেমা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ুক। দেশের সিনেমার জয় হোক।'
কলকাতার কোন খাবার বেশি টানে? এই প্রশ্ন করতেই হাসলেন সময়ের আলোচিত অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, 'যেখানে আমি আছি, এখানে নিজাম হোটেল আছে। ওরা খুব যত্ন নিয়ে রান্না করে। খুব স্বাদ নিজাম হোটেলের খাবার। সাধারণত এখানে এসে ভাত কমই খাই। চিকেন রোলসহ বেশ কিছু খাবার আমাকে টানে।'
চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত ভারতীয় পরিচালক সৃজিত মুখার্জির নতুন চলচ্চিত্র 'পদাতিক'র শুটিং শেষ হয়েছে। তার ভক্তরা অপেক্ষা করছেন কবে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। এই সিনেমায় বিখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল।
Comments