রাজনীতি ও অভিনয় পাশাপাশি করে যাব: ফেরদৌস

‘মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি।’
ফেরদৌস। স্টার ফাইল ফটো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন চার বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। এই সময়টিতে নির্বাচন ঘিরেই তিনি ব্যস্ত থাকবেন।

যেহেতু তিনি রাজনীতিতে এলেন, এখন রাজনীতি ও অভিনয়—দুটোই পাশাপাশি করবেন নাকি শুধু অভিনয়, জানতে চাইলে ঢালিউডের জনপ্রিয় এই নায়ক বলেন, 'রাজনীতি ও অভিনয় পাশাপাশি করে যাব। অভিনয়ের জন্য আজকের আমি। কিন্তু খুব বাছাই করে কাজ করব।'

'দীর্ঘদিন ধরে সিনেমায় অভিনয় করে মানুষকে বিনোদন দিয়ে যাচ্ছি। এখন মানুষের সেবা করার স্বপ্ন দেখি। মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি', বলেন তিনি।

বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনার আলোচিত সিনেমা 'হঠাৎ বৃষ্টি'র এই নায়ক আরও বলেন, 'আমি কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। তিনি আমাকে যে ভালোবাসা ও সম্মান দিলেন, তা যেন রক্ষা করতে পারি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে যেন চলতে পারি। দলের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞ।'

ফেরদৌস। স্টার ফাইল ফটো

এক প্রশ্নের জবাবে নায়ক ফেরদৌস বলেন, 'সবসময় স্বপ্ন দেখেছি মানুষের পাশে থাকার, মানুষের সেবা করার। কিন্তু এর জন্য একটি রাজনৈতিক দল প্রয়োজন, যেখান থেকে কাজ করতে পারব। আওয়ামী লীগ তেমন একটি ঐতিহ্যবাহী দল, যেখানে থেকে আমার স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।'

'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস আছে। তার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাব। আমার প্রতিও তার আস্থা আছে। ধানমন্ডির মতো ঐতিহ্যবাহী এলাকায় নির্বাচন করছি, এটাও আমার জন্য বড় বিষয়। কেননা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি থেকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, ৭ই মার্চ ভাষণ দিতে গেছেন।'

ফেরদৌস আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য অনেক করেছেন। যেকোনো শিল্পীর বিপদে তিনি এগিয়ে আসেন। তার বড় মনের পরিচয় আমাদেরকে মানুষের সেবা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তিনি বাংলাদেশকে অনেক সামনে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।'

২৫ বছর ধরে সিনেমায় অভিনয় করছেন ফেরদৌস। ২৫ বছর আগে টালিউডের 'হঠাৎ বৃষ্টি' সিনেমা তাকে দুই বাংলায় এনে দেয় খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে চলেছেন।

চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

এত দীর্ঘ অভিনয়জীবনের বড় প্রাপ্তি কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'মানুষের ভালোবাসা। অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। দেশে, বিদেশে। মানুষ আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। সিনেমার শিল্পী হিসেবে এটা পেয়েছি।'

স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচনী সফর করেছি। কাছ থেকে তাকে দেখার সুযোগ হয়েছে। অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ তিনি। দেশকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসেন।'

চার বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, 'প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে। আজও সেই স্মৃতি ভুলিনি। তিনি আমার ভীষণ শ্রদ্ধার মানুষ।'

অভিনয় ও রাজনীতি দুটো পাশাপাশি করতে সমস্যা হবে কি না, প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস বলেন, 'অভিনয় আগের চেয়ে কম করছি। এখন মানুষের সেবা করব। পাশাপাশি চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখব। মানুষ মানুষের জন্য। চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও মানুষের এক ধরনের সেবা করেছি। এবার নির্বাচিত হতে পারলে মানুষের সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করব।'

ফেরদৌস আহমেদ। ছবি: স্টার

সবশেষে তিনি বলেন, 'আবারও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। তাকে আমি শ্রদ্ধা করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। আমিও সেখানে ভূমিকা রাখব আশা করছি।'

ফেরদৌস অভিনীত 'দামপাড়া', মানিকের 'লাল কাঁকড়া'সহ বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, 'দেখতে দেখতে ঢাকার সিনেমায় ২৫ বছর হয়ে গেল। ২৫ বছরের পথচলায় যা পেয়েছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট।'

Comments

The Daily Star  | English
pharmaceutical industry of Bangladesh

Pharma Sector: From nowhere to a lifesaver

The year 1982 was a watershed in the history of the pharmaceutical industry of Bangladesh as the government stepped in to lay the foundation for its stellar growth in the subsequent decades.

17h ago