টেনশনে আগের রাতে ঘুম হয়নি, ভারত থেকে চঞ্চল চৌধুরী

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী এখন ভারতে আছেন। সৃজিত মুখাজি পরিচালিত উপমহাদেশের বিখ্যাত নির্মাতা মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’-এর শুটিং করছেন তিনি। প্রথম লটের শুটিং হচ্ছে কলকাতায়।
চঞ্চল চৌধুরী। স্টার ফাইল ছবি

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী এখন ভারতে আছেন। সৃজিত মুখাজি পরিচালিত উপমহাদেশের বিখ্যাত নির্মাতা মৃণাল সেনের বায়োপিক 'পদাতিক'-এর শুটিং করছেন তিনি। প্রথম লটের শুটিং হচ্ছে কলকাতায়।

কলকাতা থেকে দ্য ডেইলি স্টারের কাছে ৩ দিনের শুটিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন দুই বাংলার নন্দিত শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী।

তিনি বলেন, 'সৃজিত মুখার্জীর পরিচালনায় প্রথমবার অভিনয় করছি। অসম্ভব রকমের মেধাবী একজন পরিচালক। মৃণাল সেনের ওপর তার দখল অনেক। আমাকে প্রতিদিনই কোনো না কোনো বই দিচ্ছেন। সিডি বা ডিভিডি দিচ্ছেন। যেন বেশি বেশি জানতে পারি মৃণাল সেনকে।'

'৩ দিন শুটিং করেছি। ৩ দিনে ভালো শুটিং হয়েছে। পদাতিক সিনেমার জন্য পরিচালক খুব শ্রম দিচ্ছেন। মৃণাল সেন শুধু ভারতের একজন নামকরা  নির্মাতা নন, বিশ্বখ্যাত একজন নির্মাতা। সত্যজিত রায়, ঋত্বিক ঘটক ও মৃণাল সেন ৩ বিশ্বমানের নির্মাতা।'

চঞ্চল বলেন, 'সত্যি কথা বলতে একটা চাপের মধ্যে আছি। কেন না, পদাতিক সিনেমার যেরকম হাইপ উঠেছে সবখানে, সেজন্য চাপটা বেশি। প্রত্যাশার চাপটা বেশি। অমিতাভ বচ্চন পোস্টার শেয়ার করার পরই হাইপটা উঠেছে বেশি করে। আমাদের সবার চাপও বেড়ে গেছে।'

'কলকাতায় শুটিং শুরু করেছি। ৩ দিনের শুটিং শেষ হলো। আজ শুটিং নেই। আগামীকাল থেকে ফের শুটিং শুরু করব। পুরো টিম সহযোগিতা করছে। ভীষণভাবে কেয়ার নিচ্ছেন আমার। থাকা, খাওয়া থেকে শুরু করে যাতায়াত সবকিছুর কেয়ার করছেন।'

পদাতিক সিনেমা তার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে চঞ্চল বলেন, 'কি রকম একটা মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে কয়েকটা দিন পার করে এসেছি। এমন অবস্থায় শুটিং করতে এসেছি। আমি মনে করি বাবার আশীর্বাদ আছে আমার ওপর। ভেতরে বিশ্বাস ছিল পারব। ভালোভাবে শুটিং শুরু করেছি। ওপর থেকে হয়তো বাবা দেখছেন সবকিছু।'

'নতুন টিমে কাজ করছি। নতুন প্রজেক্টে কাজ করেছি। যথেষ্ঠ সম্মান করছেন আমাকে। অনেক বড় একটি প্রজেক্ট এটি। কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সত্যি কথা বলতে এক ধরনের ভয় ছিল। ভীতি কাজ করেছে আমার ভেতরে। কেন না, মৃণাল সেনের মতো এত বড় মাপের নির্মাতার জীবনী নিয়ে সিনেমা করতে চলেছি। সেজন্য, আগের রাতে ঘুম হয়নি টেনশনে। পরে অবশ্য ক্যামেরার সামনে যাবার পর সব ঠিক হয়ে গেছে।'

'৩ দিনের শুটিং অভিজ্ঞতা অসাধারণ। দিনে ৩ থেকে ৪ বার গেটআপ বদল করতে হচ্ছে। ৩ বয়সের আমাকে দেখা যাবে। কখনো ইয়াং, কখনো বৃদ্ব, কখনো অন্য লুকে। তবে লুক চেঞ্জ করতে গিয়ে অনেক সময় দিতে হচ্ছে। তারপরও আমি হ্যাপি। কেন না, দিন শেষে আমি একজন শিল্পী', বলেন চঞ্চল।

তিনি আরও বলেন, 'আশা করা যাচ্ছে পদাতিক ২ দেশে একযোগে মুক্তি দেওয়ার। যদি আইনি জটিলতা না থাকে তাহলে এটা করা হবে।'
 

Comments