৮ দিনে ২২ সিনেমায় কাজের প্রস্তাব পেয়েছিলাম: সোহানা সাবা

সোহানা সাবা। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার

সোহানা সাবা অভিনীত নতুন সিনেমা 'অসম্ভব' মুক্তি পাচ্ছে শিগগির। এ ছাড়া, নায়ক আফজাল হোসেনের পরিচালনায় 'মানিকের লাল কাঁকড়া' নামে একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। কলকাতায় মুক্তির অপেক্ষায় আছে দুটি সিনেমা। চলতি মাসে আরও একটি সিনেমার শুটিং শুরু করবেন তিনি।

বিখ্যাত অভিনেত্রী কবরী পরিচালিত 'আয়না' দিয়ে ঢাকাই সিনেমায় আগমন সোহানা সাবার। এরপর মোরশেদুল ইসলামের 'খেলাঘর'-এ অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেন।

গত বছর 'বলি' ওয়েব ফিল্মে 'আনারকলি' চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হন। এ ছাড়া, 'অদিতি' ওয়েব ফিল্মের জন্যও প্রশংসা কুড়ান।

এসব নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

আপনার নতুন সিনেমা 'অসম্ভব' মুক্তি পাচ্ছে, এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে?

সোহানা সাবা: 'অসম্ভব' সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অরুণা বিশ্বাস। একদিন তিনি আমাকে কল করেছিলেন। তারপর ম্যাসেজ দিয়েছিলেন। তিনি আমার খুব পছন্দের মানুষ। তিনি আমাকে জানান তার অনুদানের সিনেমার কথা। একদিন আমি তার বাড়িতে গেলাম। বেশ কয়বছর আগে অরুণাদির মা জোছনা বিশ্বাসের সঙ্গে 'পৌষ ফাগুণের পালা' নাটকে অভিনয় করেছিলাম। মাসিমার সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় আমার। তারপর অরুণাদির বাড়িতে গিয়ে কথা হলো, আড্ডা হলো। সেখানেই সবকিছু চূড়ান্ত হয় 'অসম্ভব' সিনেমায় অভিনয় নিয়ে। সামনে ভালো একটা সময় দেখেই 'অসম্ভব' মুক্তি পাচ্ছে।

মিষ্টি মেয়েখ্যাত বিখ্যাত নায়িকা কবরীর হাত ধরে সিনেমায় আগমন আপনার, তারপরও সেভাবে সিনেমায় ব্যস্ত দেখা যায়নি কেন?

সোহানা সাবা: 'আয়না' আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা। এর পরিচালক ছিলেন এ দেশের অন্যতম প্রধান নায়িকা কবরী। সেসময় পাপাকে (বাবা) কথা দিয়েছিলাম একটিমাত্র সিনেমা করব। একদিন আম্মু বাসায় ছিলেন। পাপা আমাকে এফডিসিতে নিয়ে যান। পাপা না গেলে আম্মু যেতেন সঙ্গে। যাই হোক, এটা ২০০৪ সালের কথা। এফডিসি তখন রমরমা। পাপার ভালো লাগে। পাপা তখন বলেছিলেন 'আয়না' করো, এরপর আর না। তখন কাটপিসের ভয় ছিল। মাত্র ৮ দিন শুটিং করেছিলাম এফডিসিতে 'আয়না'র জন্য। ৮ দিনে ২২টি সিনেমায় কাজের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। একটিও করিনি। ওই মুহূর্তে আর কোনো সিনেমা করার কথা ভাবিনি। শুধু মনে হয়েছিল একটি সিনেমাই ভালোভাবে শেষ করব।

নাচ, মডেলিং, উপস্থাপনা, নাটক, ওয়েব সিরিজ ও সিনেমা করছেন, এই সময়ে এসে আপনার পরিকল্পনা কি?

সোহানা সাবা: আমার এই মুহূর্তে একটাই পরিকল্পনা হলো অভিনয়। শুধুই অভিনয় করা। মূল চরিত্রে ও ভালো গল্পে অভিনয় করা। অভিনয়টাকে মন দিয়ে ভালোবাসি। এজন্য অভিনয়টাই করতে চাই। এ ছাড়া, ইয়োগা করি। এটা নিয়ে পরিকল্পনা আছে। সামনে একটি ইয়োগা স্কুল করব। সেপ্টেম্বরে আশা করছি ইয়োগা স্কুল শুরু করব।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক সময় নেগেটিভ কমেন্টস পান, এটাকে কীভাবে দেখেন?

সোহানা সাবা: আমার পেইজের এডমিন আছে। ফেসবুকে নেগেটিভ কমেন্টস করার পর তো ব্লক করে দিতে পারি। কিন্তু পেইজে এখন কে কি লিখল তা নিয়ে চিন্তা করি না। এটা নিয়ে এখন মাথাব্যথা নেই। ওরা লিখলেই কী এসে যায়। আমি আমার কাজ নিয়ে আছি। তা নিয়েই থাকতে চাই। আমার কাজই সবকিছুর উত্তর দিয়ে দেয়।

একজীবনে প্রেমে পড়েছেন কতবার?

সোহানা সাবা: প্রেমে পড়ার সুযোগ কম হয়েছে। প্রেম করেছি অনেকবার। আমি যাদের সঙ্গে প্রেম করেছি, কিছুদিন পর মনে হয়েছে এ তো দেবদাস। ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। তবে হ্যাঁ, প্রেম করেছি।

বিয়ে করবেন কবে?

সোহানা সাবা: সত্যি বলতে আমি পুরুষদের এখন ভয় পাই। পুরো পৃথিবীতে সত্যিই কী আমার জন্য এরকম কোনো মানুষ আছে, যার সঙ্গে  নিশ্চিন্তে বাকিটা জীবন কাটাতে পারব? যদি এরকম কেউ থেকে থাকে আর তার সঙ্গে আজ দেখা হয়ে যায়, তাহলে কালই তাকে বিয়ে করে ফেলতাম।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago