সোনা যেমন খাঁটি, আমিও তেমন খাঁটি: সোহানা সাবা

টেলিভিশন নাটকের প্রিয়মুখ সোহানা সাবা। সিনেমায় অভিনয় করেও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। শুরুটা করেছিলেন নাচ দিয়ে। চলতি সময়ে উপস্থাপনায় সরব তিনি।
সোহানা সাবা। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার

টেলিভিশন নাটকের প্রিয়মুখ সোহানা সাবা। সিনেমায় অভিনয় করেও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন। শুরুটা করেছিলেন নাচ দিয়ে। চলতি সময়ে উপস্থাপনায় সরব তিনি।

অভিনয় ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার সকালে কথা বলেছেন সোহানা সাবা।

দ্য ডেইলি স্টার: প্রায়ই আপনাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। নানা জায়গায় ভ্রমণ করেন। জীবনকে কতটা উপভোগ করছেন?

সোহানা সাবা: চাইলেই জীবনকে উপভোগ করা যায়। প্রত্যেকটা সময় নদীর ঢেউয়ের মতো জীবনকে ঠেলতে ঠেলতে সমুদ্রে নিয়ে যায়। আমি মূলত ছিলাম সমুদ্রে। কিন্তু, হঠাৎ করে একটি ঘটনা আমাকে কুয়োর ব্যাঙ বানিয়ে ফেলে। জীবনের আনন্দ, সৌন্দর্য, সুখ— হঠাৎ সব যেন একটু দূরে সরে গিয়েছিল। আবার নদীতে চলে এলাম। ৭ বছর একা আছি। পরিবারের সমর্থন না পেলে টিকে থাকা সম্ভব হতো না। নদীর বাঁকের মতো জীবনের নানান বাঁকের মধ্যেও একটা সৌন্দর্য থাকে। এর নামই জীবন। আমি অল্প প্রাপ্তিতে খুশি। অল্প প্রাপ্তি সুন্দর। আমার একটা ছেলে আছে। সব মিলিয়ে জীবন সুন্দর।

একজীবনে হাজারো সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। অনেকেই ভুল করে। আমিও ভুল করেছি।

সোহানা সাবা। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার

ডেইলি স্টার: কখনো সংগ্রাম করতে হয়েছে?

সোহানা সাবা: আমি মনে করি প্রত্যেকটা সৃজনশীল মানুষকে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। এটা শুধু আমি না, সবারই কমবেশি করতে হয়েছে। আমার মা, বাবা, ভাই ও পুরো পরিবার পাশে না থাকলে এতটা সুন্দর থাকা সম্ভব হতো না। বাবা নেই ৩ বছর। কিন্তু, বাবা থাকাটা একজন মেয়ের জন্য সবকিছু থাকা। আমি স্রোতের বিপরীতে চলেছি। এখনো চলছি। ওই সময়টা না এলে মানুষ চেনা হতো না। মানুষ চিনতে পেরেছি। তারপরও সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা। তিনি যেভাবে রেখেছেন, ভালো আছি।

সোহানা সাবা। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার

ডেইলি স্টার: নিজেকে কখনো নতুন করে আবিষ্কার করেছেন?

সোহানা সাবা: করেছি। আমি অনেকদিন সেন্সে ছিলাম না। এই সময়টা মূলত বিচ্ছেদের পর। একজন মেয়ে যখন স্ট্রংলি দাঁড়ায়, সবচেয়ে বড় সমর্থন থাকে বাবার। সেটা আমি পেয়েছি। এ ছাড়া, আমি ভেবেছি, যা হওয়ার হবে, আমি মাথা উঁচু করেই দাঁড়াব। কদিন পর আমার ছেলের বয়স ৮ বছর হবে। ছেলের দিকে তাকালে মনে হয় এর চেয়ে সুন্দর, এর চেয়ে বেঁচে থাকার আনন্দ আর হতে পারে না। ছেলের দিকে তাকালে মনে হয় আমি ভাগ্য নিয়ে এসেছি। ছেলের মুখটা আমায় ভেঙে পড়তে দেয়নি। এভাবেই নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছি।

এখন নিজেকে স্বাধীন মনে হয়। খাঁটি মনে হয়। সোনা যেমন খাঁটি, আমিও তেমন খাঁটি। নিজেকে দেখতে পারি। আমি এমন একজন নারী, সব বাঁক ফেলে এসে সঠিক জায়গায় আছি।

সোহানা সাবা। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল/স্টার

ডেইলি স্টার: আগামীকাল আপনার জন্মদিন। বিশেষ কোনো পরিকল্পনা?

সোহানা সাবা: প্রতিবছরই জন্মদিনে দূরে কোথাও থাকা হয়। এ বছরও যাব। তবে, আজ যেহেতু বাড়িতে আছি, কাছের মানুষরা আসবেন। তাদের সঙ্গে সময় কাটাব। আড্ডা দেবো। আগামীকাল সকালে দেশের বাইরে চলে যাব। সিঙ্গাপুরে যাচ্ছি এবার। কয়েকটি দিন সুন্দর করে কাটাব। আবার আমার ছেলের জন্মদিন কয়েকদিন পর। তার আগেই ফিরে আসব। ছেলে তার জন্মদিন নিয়ে অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত থাকে। সেটাও সুন্দর করে উদযাপন করব।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago