বাংলাদেশে বায়ু দূষণে ২০১৯ সালে মারা গেছেন অন্তত ৭৮১৪৫ জন
বায়ু দূষণের কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে অন্তত ৭৮ হাজার ১৪৫ জন মারা গেছেন। অথচ, এই খাতে ২০১৯ সালে জিডিপির প্রায় ৩ দশমিক ৯ থেকে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ব্যয় করে বাংলাদেশ।
বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বায়ু দূষণ শ্বাসকষ্ট, কাশি, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণসহ বিষণ্ণতা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়। ৫ বছরের কম বয়সী শিশু ও প্রবীণরা বায়ু দূষণের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে।
ঢাকা ও সিলেটের বাসিন্দাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বায়ু দূষণের প্রভাব মূল্যায়ন করা হয়েছে 'ব্রিদিং হেভি: নিউ ইভিডেন্স অন এয়ার পলিউশন অ্যান্ড হেলথ ইন বাংলাদেশ' প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ঢাকা শহরে অধিক ভবন নির্মাণ ও যানবাহন অধ্যুষিত এলাকায় বায়ু দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে বিবেচিত সূক্ষ্ম কণা রয়েছে ডব্লিউএইচওর বায়ুর গুণমান নির্দেশিকা থেকে গড়ে ১৫০ শতাংশ বেশি। ঢাকার আশেপাশে এই সূক্ষ্ম কণার সবচেয়ে বেশি ঘনত্ব পাওয়া যায় ইটভাটায়।
সিলেট বিভাগে দেশের সবচেয়ে বিশুদ্ধ বায়ু রয়েছে। সেখানে এখনও গড় পিএম২.৫ ঘনত্বের মাত্রা ডব্লিউএইচওর বায়ুর গুণমান নির্দেশিকা থেকে গড়ে ৮০ শতাংশ বেশি।
দেশের পশ্চিমাঞ্চল (খুলনা ও রাজশাহী) পূর্বাঞ্চলের (সিলেট ও চট্টগ্রাম) চেয়ে বেশি দূষিত।
Comments