তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

রংপুরে ৪ ইউনিয়নের ১ হাজার পরিবার পানিবন্দি

পানিবন্দি
পানিবন্দি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বাগেরহাট গ্রাম। ছবি: সংগৃহীত

তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছেন।

ভারতের উজানে ভারি বর্ষণ হওয়ায় তিস্তার পানি বৃহস্পতিবার রাতে বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নদী সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। 

রংপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ বছর এ নদীতে চতুর্থবারের মতো আকস্মিক বন্যা হচ্ছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের আজ শুক্রবারের তথ্য অনুযায়ী, সিকিম ও অন্যান্য স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি বাড়তে থাকায় অনেক এলাকা প্লাবিত হয় এবং উপজেলার লক্ষ্মীটারী, কোলকোন্দল, নোহালী ও আলমবিডিটার ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রামগুলো তলিয়ে যায়।

তিনি বলেন, 'বন্যায় ১ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চর এলাকার পরিবারগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'বাগেরহাট গ্রামটি কোমর পানিতে ডুবে আছে। গ্রামের সব বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'

বাগেরহাট গ্রামের বাসিন্দা রেজিনা ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, ভাদ্র মাসে এলাকায় বন্যা আগে তেমন একটা দেখা যায়নি। ঘরবাড়ি ডুবে গেলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেন। 

তিনি বলেন, 'আমরা দুর্দশার মধ্যে আছি। ঘরের জিনিসপত্র সরানো ও ঘুমানো বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে।'
 
আকস্মিক বন্যার কারণে তাদের আয়-রোজগারও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

বাগেরহাট গ্রামের আরেক বাসিন্দা মোফাজ্জল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বন্যায় বিস্তীর্ণ ফসলি জমি, বিশেষ করে আমন ধানের এলাকা তলিয়ে গেছে। গ্রামের কয়েকশ কৃষকের জন্য এটা উদ্বেগের বিষয়।'

লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী ডেইলি স্টারকে জানান, এলাকাবাসীকে আগে থেকেই সতর্ক থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। 

তবে পানিবন্দি ভুক্তভোগীরা এখনো কোনো খাদ্য সহায়তা পাননি বলে জানান তিনি।

'সরকারের কাছ থেকে সরবরাহ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে,' বলেন তিনি।

এছাড়াও কোলকোন্ডা ইউনিয়নের বিনবিনা, উত্তর চিলাখাল, দক্ষিণপাড়া ও মটুকপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো তাদের ঘরের জিনিসপত্র ও গৃহপালিত পশু নিয়ে উঁচু জমিতে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English
Speaker Shirin Sharmin Chaudhury resigns

How could fugitive ex-Speaker submit biometrics for passport?

The question arises, if the passport employees got a trace of Shirin Sharmin then how come the police did not?

3h ago