শ্যামনগরে দমকা বাতাসের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি, একাকার চিংড়ি ঘের

রাত ৩টার পর থেকে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি কমে গেলেও আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিক থেকে আবার দমকা বাতাস ও মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকায় বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকায় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় বাঁধ রক্ষা চেষ্টা চলছে। ছবি: সংগৃহীত

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকা শ্যামনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরিবাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে দমকা বাতাসের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছগাছালি ভেঙে পড়েছে। একাকার হয়ে গেছে চিংড়ি ঘের।

সাতক্ষীরা দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত পর্যন্ত শ্যামনগর উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শিশুসহ প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

রোববার দিবাগত রাত ৩টার পর থেকে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি কমে গেলেও আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিক থেকে আবার দমকা বাতাস ও মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উপকূল অঞ্চলের রাস্তাঘাটে কোনো লোকজন নেই। কোনো দোকানপাট খোলেনি সকাল ৯টা পর্যন্ত।

শ্যামনগরে স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চলছে। ছবি: সংগৃহীত

সরেজমিনে মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগঙ্গালিনী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কোথাও ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালি গ্রামে কয়েকটি কাঁচা ঘর বাড়ি ভেঙে পড়েছে।  মুন্সিগঞ্জ থেকে নীলডুমুর যাওয়ার সড়কের দুপাশে চিংড়ি ঘেরের আইল ভেঙে ঘেরগুলো একাকার হয়ে গেছে।

এছাড়া শ্যামনগর থেকে কালিগঞ্জগামী সড়কের দুপাশের বেশ কিছু গাছগাছালি ভেঙে যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে।

কৈখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, তার ইউনিয়নে বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ির ছাউনি উড়ে গেছে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ডেইলি স্টারকে জানান, পুলিশের একাধিক টিম শ্যামনগর ও আশাশুনিয়া উপজেলায় কাজ করছে। তারা সারারাত ধরে শ্যামনগর কালীগঞ্জ সড়কের উপরে ভেঙে পড়া গাছগাছালি সরিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রেখেছেন।

শ্যামনগর-কালীগঞ্জ সড়কে ভেঙে পড়া গাছ সরিয়ে নেওয়া হয় রাতে। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জানান, তাদের ৩৮০ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দূর্গাবাটি, গাবুরা ইউনিয়নের নেবুবুনিয়া ও পারসেমারিসহ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকায় স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা নিয়ে বাঁধ রক্ষা চেষ্টা চলছে।

শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম জানান, কোথাও কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ও পাশাপাশি গাছ গাছালি ভেঙে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে কয়েকটি এলাকার চিংড়ি ঘেরের জমি একাকার হয়ে গেছে। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের চেষ্টা চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

9h ago