ফটিকছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, অন্তত ১ লাখ মানুষ আটকা 

ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে বন্যায় এ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ও সংলগ্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।  পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এখানকার এক লাখ মানুষ।

ফটিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে বন্যায় এ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেওয়া তথ্য অনুসারে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা পর্যন্ত নারায়ণহাট পয়েন্টে হালদা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

হালদা নদীর উজান থেকে আসা পানিতে নারায়ণহাট, ভুজপুর, পাইন্দং, লেলাং, সমিতিরহাট, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিলসহ এ উপজেলার অধিকাংশ নিচু এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সোহাগ তালুকদার বলছেন,হালদাতীরের বেড়িবাঁধের ২২টি ভাঙা অংশ দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। উপজেলার বিভিন্ন খাল থেকেও পানি উপচে মানুষের বাড়িঘরে ঢুকছে।

বন্যায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হেঁয়াকো থেকে ফটিকছড়ি, ঝংকার মোড় থেকে রাউজান, নাজিরহাট থেকে কাজিরহাটসহ অন্যান্য এলাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

নারায়ণহাট এলাকার এক স্কুল শিক্ষক নিজাম উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বন্যার কারণে তিনি বাড়িতে আটকা পড়েছেন। তিনি বলেন,'মঙ্গলবার রাতে আমাদের পুরো গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিস্থিতির এখনো উন্নতি হয়নি।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

Comments