মিরসরাইয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজার দুর্গত মানুষ, এখনো পানিবন্দী ১২ হাজার

বন্যাকবলিত মানুষকে উদ্ধারের জন্য দুটি ক্যাম্প বসিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনা সদস্যরা ১৭টি বোট নিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
বিপৎসীমার ওপরে ফেনী নদীর পানি। প্লাবিত হচ্ছে মিরসরাইয়ের নতুন নতুন এলাকা। ছবি: স্টার

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।  প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

ইতোমধ্যে উপজেলার ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ছয় হাজার দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন জানাচ্ছেন, টানা বৃষ্টি ও বন্যায় উপজেলার করেরহাট, ওসমানপুর, ইসাখালি, কাটাছড়া, খৈয়াছড়া ও ধুম ইউনিয়ন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ। ছবি: স্টার

দ্য ডেইলি স্টারকে জেরিন বলেন, বন্যাকবলিত মানুষকে উদ্ধারের জন্য দুটি ক্যাম্প বসিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনা সদস্যরা ১৭টি বোট নিয়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।

এদিকে মিরসরাইয়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ চার লাখ টাকার সরকারি অনুদান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পাশের ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থেকে প্রচুর মানুষ শুভপুর ব্রিজ পার হয়ে আশ্রয়ের জন্য মিরসরাইয়ে চলে এসেছেন। মিরসরাইয়ের জোরালগঞ্জ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পানি উঠেছে। ফলে ঢাকামুখী যান চলাচলে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

প্লাবিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

Comments