ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরেকটি সেতুতে ধস, কসবা-আখাউড়া যোগাযোগ বন্ধ

কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে।
সেতুর একটি অংশ ধসে পড়ায় কসবা-আখাউড়া উপজেলার মধ্যে সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় আরও একটি সেতুর অংশ ধসে পড়ায় কসবা উপজেলার সঙ্গে আখাউড়ার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এই সড়কের আরেকটি সেতু মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে নেমে আসা পানিতে আখাউড়া উপজেলার অন্তত আটটি স্থানে আঞ্চলিক সড়ক ভেঙে গেছে। ফলে ওইসব এলাকায় সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

আজ শুক্রবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আখাউড়ায় মোট ১০০টির মতো পরিবার স্থানীয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আখাউড়ার সীমান্তবর্তী চারটি ইউনিয়নের ৩৪টি গ্রামের অন্তত ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকার ধানের জমি, শাকসবজির জমিসহ বিভিন্ন মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ছাড়া এখনো পর্যন্ত আখাউড়া-আগরতলা সড়ক যোগাযোগ এবং স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আখাউড়া-কসবা আঞ্চলিক সড়কের আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রাম ও মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামের সংযোগস্থলের সেতুটির এক পাশের দেয়াল বৃহস্পতিবার রাতে ধ্বসে পড়ে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন ঠেকাতে সেখানে গাছ ফেলে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

এলাকাবাসী জানান, আখাউড়া পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকায় প্রবেশ ও বাহির মুখে থাকা সেতুটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নতুন নির্মাণ হওয়া সেতুটির এক পাশ থেকে মাটি সরে যায়। এ অবস্থায় একপাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এটি ধসে পড়লে দেবগ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে অচল হয়ে পড়বে।

উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্র জানায়, ধসে পড়া ও ঝুঁকির মুখে থাকা সেতু দুটির পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে মাটি থেকে সরে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, সেতুর বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। ঝুঁকি থাকায় সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

Comments