ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হেনে শক্তি হারাচ্ছে ‘দানা’, হতাহতের খবর নেই

ঘূর্ণিঝড় দানা
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় দানা

মধ্যরাতের পর ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার পর ধীরে ধীরে শক্তি হারাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'।

এতে দুটি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত ও জলোচ্ছ্বাসের কারণে কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হলেও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মধ্যরাতে স্থলভাগে আঘাত হানার সময় ঝড়টির গতি ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত। তবে শুক্রবার ভোরে স্থলভাগ অতিক্রম করার পর এর গতি কমতে শুরু করেছে।

ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলার ভিতরকণিকা এবং ভদ্রকের ধামরার প্রশাসনিক প্রধান দিলীপ রাউতরাই জানান, তাদের কাছে প্রাণহানির কোনো খবর নেই। বিকেলের মধ্যেই বিদ্যুৎ আসবে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ধামরার উপকূলীয় গ্রামগুলোতে গাছ উপড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার পাশাপাশি কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলেও জানান দিলীপ রাউতরাই।

এছাড়া ঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টিপাত ও জলোচ্ছ্বাসে নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সুন্দরবন বিষয়ক মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের কারণে সুন্দরবন বেল্টের অনেক এলাকায় সমুদ্রের পানি ঢুকে পড়ায় জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।

এদিকে আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং কলকাতার নেতাজি সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ৮টা থেকে ফের বিমান চলাচল শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ দুটি বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক প্রসন্ন প্রধান জানান, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এখানে বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে আসায় এক ঘণ্টা আগেই তা চালু করা হয়।

তবে 'দানা'র প্রভাবে এখনো পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি জানিয়েছেন, উপকূলীয় এলাকার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ও নিচু এলাকা থেকে প্রায় পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও সরকার প্রাথমিকভাবে ১০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Why are onion prices rising abruptly?

Onion prices have been increasing over the past weeks, as farmers and traders release fewer stocks to local markets in the hope of better returns amid the government’s suspension of imports

2h ago