তিস্তার পানি ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে ৪০ সেন্টিমিটার

গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে ৪০ সেন্টিমিটার। আজ রোববার সন্ধ্যায় ৬টায় তিস্তা ব্যারেজে ৫২ দশমিক ০৮ মিটার পানি রেকর্ড করা হয়েছে।
তিস্তা ব্যারেজে পানির রেকর্ডকিপার রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছিল ৫১ দশমিক ৬৮ মিটার।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার পানি বিপদৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'শনিবার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৮ হাজার কিউসেক। রোববার সকালে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৬৫ হাজার কিউসেক।'
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, উজানের পানিতে তিস্তার পানি ২৪ ঘণ্টায় ৩২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, 'রোববার সকালে এ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। আপাতত তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার কোন সম্ভাবনা নেই।'
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী এলাকার কৃষক মেহের আলী (৭০) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতিবছর জুলাই মাসে আমাদের বন্যার জন্য প্রস্তুতি থাকে। কিন্তু এ বছর এখনো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তিস্তায় খুব বেশি পানি নেই এখন। তিস্তার বুকে অনেক চর এখনো পানিতে ডোবেনি।'
তিনি বলেন, 'ধারনা করছি এ বছর অসময়ে বন্যা দেখা দিতে পারে। সেসময় আমাদের লাগানো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।'
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর এলাকার কৃষক সুরজামাল মিয়া (৬৫) বলেন, 'এ বছর এখনো তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু জুলাই মাস হলো বন্যার মাস। তিস্তা নদীপাড়ের জমিগুলোতে নদীর পানি প্রবেশ করেনি। এটা নদীপাড়ের কৃষকদের জন্য খারাপ লক্ষণ।'
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'এ বছর জুলাই মাসে নদ-নদীপাড়ে বন্যা নেই। আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তাতে বেশি ক্ষতি হবে।'
Comments