কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ৩১ সেন্টিমিটার উপরে

পানি বাড়তে থাকায় বন্যার শঙ্কায় নদীপাড়ের মানুষ
রোববার সকালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা এলাকা থেকে তোলা ছবি। ছবি: এস দিলীপ রায়/ স্টার

টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। পানি বাড়তে থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন নদীপাড়ের মানুষজন। ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলোতে নদ-নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমির আমনসহ শাক-সবজির খেত।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাটের শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী, নুনখাওয়া ও হাতিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। দুধকুমার, ধরলা ও জিনজিরাম রদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার মাত্র এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে তিস্তার পানি যেকোনো সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে নদীর পানিতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার, জিনজিনরামসহ সকল নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাট এলাকার কৃষক নুর মোহাম্মদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শনিবার রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি এলাকায় ঢুকে শুরু করেছে। রোববার সকালে ঘরের ভেতর পানি ঢুকেছে। তারা এখনো বাড়িতে রয়েছেন। আরেকটু পানি বাড়লে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশ্যাম গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ঘরের ভেতর তিস্তা নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। আমনসহ শাক-সবজির খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দ্রুত বন্যার পানি নেমে না গেলে শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হবে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, আমনের তেমন ক্ষতি হবে না তবে দ্রুত বন্যার পানি না নামলে শাক-সবজির ক্ষতি হবে। কী পরিমান ফসলের খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে তা এখনো নির্ণয় করা হয়নি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। তিস্তা পাড়ে বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Opening aid corridors, leasing out ports not this govt’s job

Making decisions on a “humanitarian corridor” to Rakhine and leasing out container terminal of Chittagong Port to foreign companies are not the interim government’s job, said BNP acting chairman Tarique Rahman last night.

3h ago