সীমান্ত দিয়ে জ্বালানি তেল পাচার হয় না: পরিচালক অপারেশন, বিজিবি

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ভারত প্রসঙ্গ বারবার আলোচনায় আসছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তেলের দামের ব্যবধান থাকায় দেশ থেকে জ্বালানি তেল পাচার হয়। তাই ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করতে দাম বাড়ানো হয়েছে।

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ভারত প্রসঙ্গ বারবার আলোচনায় আসছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তেলের দামের ব্যবধান থাকায় দেশ থেকে জ্বালানি তেল পাচার হয়। তাই ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করতে দাম বাড়ানো হয়েছে।

তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলছে, দেশের কোনো সীমান্ত দিয়ে জ্বালানি তেল পাচার হয় না। ২০২১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত মাত্র ৭১১ লিটার তেল পাচারের চেষ্টা করা হয়েছে এবং সবগুলো আটক করা হয়েছে।

বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফয়জুর রহমান আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সীমান্ত দিয়ে জ্বালানি তেল পাচারের চেষ্টা খুবই অপ্রতুল। এই পাচারের চেষ্টাগুলো সাধারণত ১০-১২ লিটার হয়। এ কারণে আমি মনে করি না যে সীমান্ত দিয়ে জ্বালানি তেল পাচার হচ্ছে। ডিজেল ব্যাগে করে পাচার করা যায় না। যদি ব্যারেল ব্যারেল জ্বালানি তেল সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়, তবেই অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। সীমান্তে তো আর বাতাস দিয়ে ব্যারেল ব্যারেল জ্বালানি তেল পাচার হতে পারবে না।'

সীমান্তে বিজিবি সবসময়ই সতর্ক অবস্থানে থাকেন জানিয়ে তিনি বলেন, 'যারাই পাচার করার চেষ্টা করেছে সবাইকে ধরতে পেরেছি। সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের জ্বালানি তেল পাচার হচ্ছে না। ৭১১ লিটার পাচার হয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাম বেড়ে যাচ্ছে, এটা মনে হয় অর্থনীতির সংজ্ঞায় পড়বে না।'

সীমান্ত দিয়ে যেন জ্বালানি তেল পাচার না হয় এমন কোনো নির্দেশনা বিজিবি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সীমান্তের নিরাপত্তা কিন্তু আজীবনের। কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা জোরদার হয়, তা না। তবে কোনো কোনো সময়, বিশেষ করে কুরবানির ঈদে যাতে গরু পাচার না হয় সেই জন্য আমাদেরকে একটু বিশেষ সতর্ক থাকতে হয়। অন্যান্য সময় আমাদের রুটিন কাজের মধ্যেই পড়ে। আমরা সতর্ক থাকি এবং সেই অনুযায়ী ফলাফলও পাচ্ছি। জ্বালানি পাচার রোধ করতে আমাদের আলাদা সতর্ক হতে হবে এমন কোনো নির্দেশনা পাইনি।'

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু গত শনিবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারতের সঙ্গে যদি আমাদের ৫০ টাকা, ৮০ টাকা ডিফারেন্স থাকে, তাহলের বিশাল অঙ্কের তেল বর্ডার দিয়ে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।'

গত শনিবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান গণমাধ্যমকে বলেন, 'জ্বালানি তেল পাচার রোধে তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তেলের দামের ব্যবধান থাকায় দেশ থেকে তেল পাচার হয়। মূল্যবৃদ্ধিতে পাচার রোধ করা সম্ভব।'

Comments