ঝিনাইদহ সীমান্তে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পলিয়ানপুর সীমান্তে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ওয়াসিম হোসেন (৩৫) নামের ওই যুকককে হত্যা করেছে। হত্যার পর মরদেহ ইছামতী নদীতে ফেলে দেওয়া। পরে শুক্রবার মরদেহটি ভেসে উঠলে বিএসএফ সেটি নিয়ে যায়।
নিহত ওয়াসিম উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে।
বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দুপুরে হুদাপাড়া গ্রামের এক কৃষক মাঠে যাওয়ার পথে নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তবে মরদেহ নদীতে থাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পরে ওয়াসিমের সঙ্গীরা এটি তার মরদেহ বলে নিশ্চিত করে।
ওয়াসিমের বড় ভাই মেহেদী হাসান বলেন, 'তিন থেকে চারদিন ধরে আমার ভাই নিখোঁজ। মাঝেমধ্যে তিনি ভারতে যাতায়াত করতেন বলে শুনেছি। গত ৮ এপ্রিল ওয়াসিমসহ কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। ফেরার সময় বিএসএফ তাদের ধাওয়া করলে অন্যান্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও ওয়াসিম ধরা পড়েন। পরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বিএসএফ।'
ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী শুক্রবার রাতে বলেন, বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি নদীতে ভাসতে থাকা মরদেহটি আমার ছেলের।
তিনি দ্রুত মরদেহ উদ্ধারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে খালিশপুর-৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, 'মরদেহটি ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে ভাসমান থাকায় বিএসএফ সেটি নিয়ে গেছে। মরদেহ ফেরত পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।'
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ উদ্দিন মৃধা বলেন, ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে একটি মরদেহ পড়ে ছিল। রাত ১০টার দিকে বিএসএফ মরদেহ নিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি কাজ করছে।
Comments