জ্বালানি তেলের দাম শিগগির আরও কমবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

ছবি: স্টার

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, 'বিশ্ববাজারে তেলের দাম যে হারে কমছে, দায়িত্বের সঙ্গে বলতে পরি দেশে জ্বালানি তেলের দাম শিগগির আরও কমবে। ইতোমধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার প্রমাণ দিয়েছেন। জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা হলেও কমিয়েছেন।'

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে সাভারের সিআরপিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'আপনারা তেল-গ্যাসের দাম বাড়ার আভাস পাচ্ছেন, আর আমি কমার আভাস পাচ্ছি। আমি দায়িত্ব নিয়ে আপনাদের বলতে পারি, বিশ্ববাজারে তেলের দাম-গ্যাসের দাম যেভাবে কমছে, সরকার ইতোমধ্যে তার মনোভাবের পরিচয় দিয়েছে। তেলের দাম কিছুটা হলেও কমিয়েছে। শিগগিরি আরও কমবে বলে আমার আশা।'

মন্ত্রী বলেন, 'তবে কোন পক্রিয়ায় কমানো হবে সেটা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। বিশ্ব বাজারে দাম বাড়লে আমরা বাড়াব, আর কমলে আমরা কমাব। তবে, দামটা হঠাৎ করে একটু বেশি পরিমাণ বেড়েছে। এ কারণে সমস্যাটা একটু বেশি হয়েছে। আপনারা জানেন, সরকার তেলের দাম শুধু কমায়নি; ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বলেছে তারা আবারও সমন্বয় করবে, আবারও কমাবেন। বিশ্বাস করি সরকার আবারও কমাবে, যদি না আবারও কোনো যুদ্ধ লেগে যায়, যদি না আবারও বিশ্ববাজারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা না হয়। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, তাইওয়ানে যুদ্ধ শুরু হয়েও হয়নি তাই বলতে পারি তেলের দাম কমবে কমবে কমবে।'

এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মান্নান বলেন, 'দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, এটা সত্যি। কিন্তু তা যথেষ্ঠ পরিমাণে হয়নি। আমাদের আরও উন্নয়ন করতে হবে। এখনো দেশে ২০ ভাগ মানুষ নিরক্ষর, ২০ ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা হচ্ছে, কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা হচ্ছে, তবে যথেষ্ট নয়। দেশে উন্নত জাতের ধান চাষ হচ্ছে, কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষাবাদ করছেন, তাই বলে আমরা বলতে পারব না আমারা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে গেছি। আমাদের আরও পরিশ্রমি হতে হবে। এই মুহূর্তে ২টি জিনিস আমাদের দরকার তার প্রথমটি হচ্ছে, কাজ আর কাজ। দ্বিতীয়টি হচ্ছে সামাজিক স্থিতিশীলতা।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago