নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রায় চূড়ান্ত: নসরুল হামিদ

বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ছবি: সংগৃহীত

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি দলের দ্বিপাক্ষিক সভায় তিনি এ কথা জানান।

সভায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ৭ সদস্যের দলের পক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও বিশ্বব্যাংকের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের পক্ষে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার নেতৃত্ব দেন।  

সভায় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, 'নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আগামী ২ বছরের মধ্যে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। নবায়নযোগ্য উৎস থেকে আগামী ৫-৬ বছরের মধ্যে আরও ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাইপলাইনে আছে।'

তিনি বলেন, 'কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ চলে গেছে। কিন্তু ওই পরিমাণ অর্থ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে আসছে না।'

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত। নেপাল-ভুটান থেকে আরও জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে চাই। ভারতের পাওয়ার মার্কেট থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টিও সক্রিয় বিবেচনায় আছে।'

এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ইলেকট্রিক্যাল যানবাহন প্রসারে বিদ্যুৎ বিভাগ উদ্যোগী হয়ে কাজ করছে। ইতোমধ্যে ইভি গাইডলাইন-পলিসি তৈরি করা হয়েছে।'

প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, 'বাংলাদেশ প্রায় ৪ মিলিয়ন ইজিবাইক (ব্যাটারিচালিত ত্রি-চাকার যান) বিদ্যমান। এখানে লেড ব্যাটারির পরিবর্তে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহার করা প্রয়োজন। ট্রান্সমিশনে বিদ্যুৎ লাইন বেসরকারি খাতে দেওয়ার জন্যও বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করছে।' 

বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার ক্রস বর্ডার ট্রেড, আঞ্চলিক পাওয়ার পুল, দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক পাওয়ার মার্কেট, নেপাল ও ভুটান হতে বিদ্যুৎ আমদানি ও ই-মবিলিটি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় জ্বালানি খাতের বিদ্যমান ও আগত প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হয়। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

9h ago