খুলনার ৩ ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন-পরিবহন বন্ধ

গত ৩ সেপ্টেম্বর কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে তেল উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
খুলনার ৩ ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন-পরিবহন বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

খুলনার রাষ্ট্রয়াত্ত তিনটি ডিপো থেকে উত্তোলন ও ১৫ জেলায় পরিবহন বন্ধ রেখেছেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

আজ রোববার সকাল থেকে ধর্মঘট পালন করছেন তারা।

জ্বালানি তেল পরিবেশকরা বলছেন, তেল বিক্রিতে কমিশন বৃদ্ধি বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। ফলে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও ১৫ জেলায় পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

খুলনার ৩ ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন-পরিবহন বন্ধ
ছবি: সংগৃহীত

খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'আমরা এখন থেকে আর পুরোনো দরে তেল নেব না। গত ২৬ তারিখে সরকার নতুন রেট কার্যকর করার গেজেট প্রকাশ করেছে। কিন্তু আমরা তেল কিনতে গেলে সেই রেটে কোম্পানিগুলো দিচ্ছে না।

'তারা বলছে, সরকার নির্ধারিত রেট তাদের কাছে এখনো পৌঁছেনি। তাই তারা নতুন রেটে তেল দেবে না,' বলেন তিনি।

নতুন দর কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবলে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে তেল উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এরপর সরকারের আশ্বাসে তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। পরবর্তীতে ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় কমিশন বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, প্রতি ১০০ টাকার অকটেন বিক্রিতে পাম্প মালিকরা চার টাকা ২৮ পয়সা, পেট্রলে চার টাকা ৩৪ পয়সা, কেরোসিনে দুই টাকা এবং ডিজেল বিক্রিতে দুই টাকা ৮৫ পয়সা কমিশন পাবেন।

এর আগে ডিজেলের দুই শতাংশ, পেট্রলের তিন শতাংশ এবং অকটেনের চার শতাংশ কমিশন ছিল।

Comments