মিয়ানমারে খাদ্য ও জ্বালানি তেল পাচারের সময় আটক ৬

ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ২১ বস্তা রসুন, ১৭ বস্তা চিনি, ৩ বস্তা বিস্কুট ও ৩৭ লিটার ডিজেল পাওয়া যায়।
জব্দকৃত খাদ্য সামগ্রী ও আটক ৫ চোরাকারবারি। ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তের ওপারে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে মিয়ানমারে খাদ্য সামগ্রী ও জ্বালানি তেল পাচারের সময় ৬ চোরাকারবারিকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট এস এম তাহসিন রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ এবং আজ রোববার ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়ইতলী সংলগ্ন নাফ নদীতে পৃথক অভিযান চালানো হয়েছে।

তাহসিন বলেন, 'শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন সৈকতের ঝাউবন এলাকায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী ও জ্বালানি তেল মিয়ানমারের পাচারের জন্য মজুদ করা হয়েছে, এমন খবরে কোস্টগার্ডের একটি দল অভিযান চালায়।'

সে সময় নাফ নদীতে একটি মাছ ধরার ট্রলারকে সন্দেহজনক অবস্থায় দেখতে পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা থামার নির্দেশ দেয়। ট্রলারটি দ্রুত চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কোস্টগার্ড ধাওয়া দেয় এবং নাফ নদীর মোহনায় জব্দ করতে সক্ষম হয়। সে সময় ট্রলারে থাকা ৫ জনকে আটক করা হয়। 

পরে ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ২১ বস্তা রসুন, ১৭ বস্তা চিনি, ৩ বস্তা বিস্কুট ও ৩৭ লিটার ডিজেল পাওয়া যায়।

আজ ভোরে আরেক অভিযানে বড়ইতলী এলাকা সংলগ্ন নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের সময় এক চোরাকারবারিকে আটক করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ড কর্মকর্তা।

এ সময় ৪ বস্তা চাল, ৪ বস্তা চিনি, ৭ বস্তা ময়দা, ১২০ লিটার অকটেন, বিস্কুট, চকলেট, চানাচুর, সুজি, গুঁড়া সাবান, নুডলস, আটা, মরিচের গুঁড়া, ডাল, পাম অয়েল জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন-টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়া এলাকার বাসিন্দা মো. তৈয়ব (৪৩), মো. সলিম (২৬), মো. জসিম উদ্দিন (১৮), মো. মজিবুল্লাহ (১৮), মো. রিদওয়ান (২২) ও বড়ইতলা এলাকার মো. শফিউল্লাহ (৪৮)।

আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে।

Comments