সিলিন্ডারে ভরে ভোলার গ্যাস আনা হলো ঢাকায়

ছবি: ইউএনবি

অবশেষে সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন অপারেটর ইন্ট্রাকো ভোলা থেকে সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) আকারে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল আমিন এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এবং ইন্ট্রাকো গ্রুপের চেয়ারম্যান হাকিম আলী বক্তব্য দেন।

ইন্ট্রাকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াদ আলী বলেন, 'প্রাথমিকভাবে ভোলা থেকে মানিকগঞ্জের ধামরাই এলাকার একটি শিল্পে যাবে আমাদের গ্যাস।

ঢাকা ও গাজীপুর ও টাঙ্গাইলসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন শিল্পকারখানায় গ্যাস সরবরাহের জন্য চলতি বছরের ২১ মে রাষ্ট্রায়ত্ত সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিসিএল) সঙ্গে চুক্তি করে ইন্ট্রাকো।

১০ বছর মেয়াদি চুক্তির আওতায় ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড দক্ষিণের জেলা ভোলা থেকে সিএনজি আকারে ৪ হাজার ঘনমিটার গ্যাস নিয়ে আসবে এবং প্রতি ইউনিট (১০০০ ঘনফুট) ৪৭ টাকা ৬০ পয়সায় শিল্পকারখানায় বিক্রি করবে।

চুক্তি অনুযায়ী, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড প্রাথমিকভাবে দৈনিক ৫০ লাখ ঘনফুট (এমএমসিএফডি) এবং পর্যায়ক্রমে আড়াই কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করবে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ভোলা ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করছে। তবে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে কী পরিমাণ গ্যাস বিক্রি করা হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

বাপেক্স এবং এসজিসিএল উভয়ই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সহায়ক সংস্থা ও প্রধান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। এটি ঊর্ধ্বমুখী এবং নিম্নমুখী উৎপাদন এবং সরবরাহ উভয়ই পরিচালনার জন্য দায়বদ্ধ।

ইন্ট্রাকোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'ভোলা থেকে সড়কপথে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় গ্যাস আনতে আমরা একটি বড় ক্যাসকেড ট্রাক ট্রেইলার ব্যবহার করছি।'

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, যেসব শিল্প-কারখানা নিম্নচাপের সম্মুখীন হবে, তারা সমস্যা সমাধানে এই গ্যাস পাবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের দ্রুত বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন- ২০১০ এর অধীনে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনটি চুক্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৪ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ২ হাজার ৫৭৬ এমএমসিএফডি গ্যাস। সরবরাহকৃত গ্যাসের মধ্যে দেশের ২২টি গ্যাসক্ষেত্র থেকে ২ হাজার ৭৬ এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে এবং বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে প্রায় ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস। ফলে এখনও ঘাটতি থাকছে ১ হাজার ৪২৪ এমএমসিএফডি গ্যাস।

ভোলার দুটি গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০০ এমএমসিএফ এবং উৎপাদন ক্ষমতা ৮০ থেকে ৮৫ এমএমসিএফের মধ্যে।

ফলে শাহবাজপুর ও ভোলা গ্যাসক্ষেত্রের আটটি কূপে প্রায় ১২০ এমএমসিএফ উদ্বৃত্ত ক্ষমতা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।

পাইপলাইন ও সঞ্চালন সুবিধা না থাকায় ভোলা ক্ষেত্র থেকে উদ্বৃত্ত গ্যাস ঢাকাসহ অন্যান্য জ্বালানি চাহিদার শিল্পাঞ্চলে সরবরাহ করতে পারেনি সরকার।

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

6h ago