রূপপুর-বগুড়া গ্রিড লাইনে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু

গ্যাস সংকট, তবুও চালু হতে যাচ্ছে গ্যাসচালিত আরও ‍২ বিদ্যুৎকেন্দ্র
প্রতীকী ছবি | সংগৃহীত

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বগুড়া পর্যন্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রিড লাইন পরীক্ষামুলকভাবে চালু করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই গ্রিডে সফলভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।

পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী ও রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মাসুদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রূপপুর থেকে বগুড়া পর্যন্ত ৪০০/২৩০ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্র পর্যন্ত ৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইনে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয়।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, গ্রিড লাইন পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করার পর বড় কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। রূপপুর প্রকল্পের জন্য লাইনটি নির্মাণ করা হলেও পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সঞ্চালন করেছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান পিজিসিবি। লাইন হস্তান্তরের আগে পিজিসিবি ও রূপপুর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করবে।

রূপপুর প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার জন্য ৬০ কিলোমিটার রূপপুর-বাঘাবাড়ি লাইন, ১০২ কিলোমিটার রূপপুর-বগুড়া লাইন এবং ১৪৪ কিলোমিটার রূপপুর-গোপালগঞ্জ লাইন প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে রূপপুর-গোপালগঞ্জ লাইন চালু করতে পদ্মা নদীতে দুই কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করতে হবে।

এর আগে রূপপুর-বাঘাবাড়ি লাইনের পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয়।

পিজিসিবির প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মাসুদুল ইসলাম বলেন, গ্রিড লাইন নির্মাণের অবশিষ্ট কাজ শেষ করে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে তিনটি গ্রিড লাইন হস্তান্তর করা হবে।

রূপপুরে দ্বিতীয় ইউনিট চালু করতে ১৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ রূপপুর-ঢাকা লাইন চালু করতে হবে। যার মধ্যে ১৪ কিলোমিটার যমুনা নদী পারাপারের কাজ রয়েছে।

পিজিসিবি জানিয়েছে, প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে রূপপুর বাঘাবাড়ি লাইনের মাধ্যমে তা সঞ্চালন করা হবে। রূপপুর-বগুড়া লাইন এ সময় কার্যকর রাখা হবে, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাবহার হবে।

রূপপুর প্রকল্পের পরিচালক জাহিদুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ হলে এ বছরের ডিসেম্বরেই প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Over 45 lakh cases pending in courts

Each HC judge is burdened with 6,552 cases, while Appellate Division judges are handling 4,446 cases each, and lower court judges 1,977 cases each.

1d ago