বাড়ছে লোডশেডিং, কমেছে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন

লোডশেডিং
ছবি: সংগৃহীত

গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যাপ্ত না হওয়ায় সারা দেশে লোডশেডিং বাড়ছে।

আজ সোমবার বিকেল ৩টায় দেশে ১৪ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে লোডশেডিং হয়েছে এক হাজার ৮৭৪ মেগাওয়াট।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির দাপ্তরিক পরিসংখ্যান অনুসারে, ওই সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল ১২ হাজার ৭৮৮ মেগাওয়াট।

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঢাকার অনেক এলাকার বাসিন্দাদের কয়েক দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

রাজধানীর উত্তরার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ জানান, দিনের শুরুতেই সকাল ১১টায় এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

রাজধানীর গুলশান, মোহাম্মদপুর, মালিবাগসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকেও একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা ফারহানা আক্তার বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

বিপিডিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছেন না।

বিপিডিবির তথ্য অনুসারে, বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় চার হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, সরকারের পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সামিট গ্রুপ তাদের এলএনজি টার্মিনালের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারছে না। যে কারণে আমদানি করা সরবরাহ থেকে জাতীয় গ্রিড প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) গ্যাস কম পাচ্ছে।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে প্রায় চার হাজার এমএমসিএফডি গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে দুই হাজার ৬০৯ দশমিক চার এমএমসিএফডি গ্যাস উৎপাদন হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Choking waters: The dangerous decline of oxygen in Dhaka’s peripheral rivers

Bangladesh, often described as a land of rivers, is criss-crossed by more than 230 major and minor waterways.

16h ago