গ্রিড বিপর্যয়ে পায়রা-রামপালসহ ৬ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়

ছবি: সংগৃহীত

গতকালের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুৎসহ অন্তত ছয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয় বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানান, আমিনবাজার উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে এবং গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্র থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে দুটি সার্কিটের মধ্যে সংগঠিত সাময়িক শর্ট-সার্কিটের কারণে স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে।

বিস্তারিত অনুসন্ধানে মন্ত্রণালয় থেকে একটি ও পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের কমিটিতে সভাপতি হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হাসিব চৌধুরী।

এতে বলা হয়, এই শর্ট-সার্কিটের ফলে পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বরিশাল ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভোলার নতুন বিদ্যুৎ ও ভোলা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। একইসঙ্গে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করার উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এইচভিডিসির ৫০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে মোট দুই হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির সৃষ্টি হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার বিকেল ৫টায় বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল ১৪ হাজার ৫২০ মেগাওয়াট আর ফ্রিকুয়েন্সি ছিল ৫০ দশমিক ৪ হার্জ, যা স্বাভাবিক। এ অবস্থায় ৫টা ৪৫ মিনিটে আমিনবাজার-গোপালগঞ্জের ৪০০ কিলোভোল্টের (কেভি) লাইনে ফল্ট সংঘটিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের যশোর, বেনাপোল ও নোয়াপাড়া উপকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ১০টি জেলায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিচ্যুতি হয়।

তবে, ২৩০ কেভি ঈশ্বরদী-ভেড়ামারা-ঝিনাইদহ লাইনটি চালু থাকায় ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া, মাগুড়া, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা উপকেন্দ্রগুলো চালু ছিল। এই লাইনটি ব্যবহার করেই পাওয়ার গ্রিডের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টায় যশোর, বেনাপোল, নোয়াপাড়া উপকেন্দ্রগুলো চালু করে। আর ৬টা ২৫ মিনিটের মধ্যে আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ-আমতলী লাইনটি সচল হয়।

পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু সাপেক্ষে রাত ৯টার দিকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। 'কমিটির প্রতিবেদন পাওয়া গেলে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের বিস্তারিত কারণসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো আরও পরিস্কারভাবে জানা যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

18h ago