নারায়ণগঞ্জের বিদ্যুৎকেন্দ্র বিক্রি করছে সামিট পাওয়ার

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসই, সামিট পাওয়ার,

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) স্যাবসন এনার্জি এফজেডসিওর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ১০২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হেভি ফুয়েল অয়েল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বিক্রি ও পুনঃরপ্তানির জন্য চুক্তি করেছে সামিট পাওয়ার লিমিটেড।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে গতকাল বুধবার প্রকাশিত এক তথ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। দুই দফা চুক্তি নবায়নের পর বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহের সর্বশেষ চুক্তি ২০২৪ সালের ২২ মার্চ শেষ হয়।

২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল বিপিডিবির সম্মতিপত্র অনুযায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কার্যক্রম আরও দুই বছরের জন্য পুনরায় শুরু হয়। কিন্তু, এবারের চুক্তি ছিল 'বিদ্যুৎ নেই, অর্থ নেই' মডেলে। এরপর ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট থেকে কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়নি এই কেন্দ্র থেকে।

সামিট পাওয়ার বিপিডিবি থেকে একটি অনাপত্তিপত্রও পেয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে পূর্বের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি আর নবায়নের কোনো সুযোগ নেই এবং বাংলাদেশে এর কার্যকাল শেষ।

এ পরিস্থিতিতে বোর্ড ৮ মে অনুষ্ঠিত সভায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় এবং সম্ভাব্য ক্রেতা খুঁজে বের করার অনুমোদন দেয়।

ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দুটি আগ্রহী প্রতিষ্ঠান পেয়েছে এবং উভয়ের সঙ্গে আলোচনার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনে নিবন্ধিত স্যাবসন এনার্জি এফজেডসিওর সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এই প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত অফিস দুবাইয়ে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত সামিট পাওয়ারের শেয়ার মালিকানা ছিল পরিচালকদের কাছে ৬৩.১৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮.৫১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩.৬৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪.৬৫ শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English

Promises on paper, pollution in reality

Environment Adviser Syeda Rizwana Hasan’s admission of failure to stop rampant stone extraction in Sylhet’s Jaflong may be honest, but it highlights her glaring limitations as an administrator.

11h ago