পটুয়াখালীতে লোকালয়ে দেখা মিললো বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ছোট আউলিয়াপুর গ্রাম এলাকায় একটি বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানের দেখা গেছে।
পটুয়াখালীতে লোকালয়ে দেখা মিললো বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান
স্থানীয় হানিফ ফকিরের বাড়িতে কালোমুখো হনুমানটি দেখতে পায় ওই বাড়ির লোকজন। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের ছোট আউলিয়াপুর গ্রাম এলাকায় একটি বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমানের দেখা গেছে।

আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় হানিফ ফকিরের বাড়িতে হনুমানটি দেখতে পায় ওই বাড়ির লোকজন।

স্থানীয় ও বন বিভাগের ধারনা, হনুমানটি খাদ্যের অভাবে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা থেকে দলছুট হয়ে নিজ এলাকা ছেড়ে এ অঞ্চলে এসেছে। হনুমানটিকে দেখার জন্য শিশু, নারী, পুরুষসহ নানা বয়সের লোকজন ভিড় করছেন।

হানিফ ফকির জানান, হনুমানটি গ্রামে এসেই আম গাছের মুকুলসহ বিভিন্ন গাছের ফল খাচ্ছে আর নষ্ট করছে। হনুমানটিকে কখনো উঁচু গাছের মগডাল আবার কখনো ছোট গাছের ডালে বসতে দেখা গেছে। ওই বাড়ির লোকজন বিশেষ করে শিশু ও নারীরা হনুমানটিকে কলাসহ বিভিন্ন খাবার দিলে গাছ থেকে নেমে সেগুলোও খাচ্ছে। তবে কারো ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে না।

স্থানীয় মজিবর ফকির জানান, কিছু সময় এখানে থাকার পর হনুমানটিকে পাশের অফিসের হাট এলাকায় চলে যেতে দেখা গেছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা বন কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রী জানান, ধারনা করা হচ্ছে কেশবপুর এলাকা থেকে কলাবাহী ট্রাকে করে হনুমানটি এদিকে আসতে পারে। তবে এগুলো আবার সেখানে চলেও যাবে। হনুমান খুবই নিরীহ প্রকৃতির। মানুষকে আক্রমণ করার আশঙ্কা নেই। তবে এদের বিরক্ত করা উচিত নয়। আর এসব বন্যপ্রাণীকে খাবার দেওয়া যাবে না। তারা প্রাকৃতিকভাবে নিজের খাবার খুঁজে নিতে সক্ষম।

তিনি আরও বলেন, এক সময় খুলনা-যশোর অঞ্চলে প্রচুর কালোমুখো (মুখ কালো) বড় প্রজাতির হনুমান দেখা যেত। এখন শুধুমাত্র যশোর জেলার কেশবপুরে কিছু হনুমান আছে। তাও খাদ্যাভাবে দলছুট হয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে এবং মারাও যাচ্ছে। এ প্রজাতির হনুমান বিলুপ্তির পথে। তাই একে বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান বলা হয়।

Comments