বাউফলে ২ শিক্ষার্থী হত্যা, সহপাঠীদের শোকে ভারী স্কুলের পরিবেশ

ঘটনার ১ দিন পার হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার না করায় স্কুলে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

পটুয়াখালীর বাউফলে দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সহপাঠীরা। সহপাঠীদের মৃত্যুতে কান্নায় ভারী হয়ে পড়েছে ইন্দ্রকুল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারপাশ।

ঘটনার ১ দিন পার হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার না করায় স্কুলে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

গতকাল বুধবার বিকেলে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জেরে ২ স্কুলশিক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ স্কুলে বিক্ষোভরত ওই দুই শিক্ষার্থী সহপাঠী সিয়াম (১৫) জানান, ঘটনার সময় কিশোর গ্যাংদের হামলায় তিনিও আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, 'বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান শেষে আমি, মারুফ ও নাফিস বাড়ি যাচ্ছিলাম তখন স্কুলের কাছে কয়েকজন আমাদের ওপর আতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করতে থাকে।'

একই স্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রায়হান, নাইম, হাসিবুলসহ ৫-৬ জন এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, 'শিক্ষার্থীরা আমার সন্তানের মতো। আমার দুই সন্তানের এমন হত্যাকাণ্ড আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি এর বিচার চাই।'

এদিকে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

জড়িতদের আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন, 'এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের আটকে অভিযান অব্যহত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।'

অল্প সময়ের মধ্যেই আসামিদের আটক করা হবে বলে জানান তিনি।

নিহত মারুফ ও নাফিসের মরদেহ এখনো তাদের বাড়ি ইন্দ্রকুল গ্রামে এসে পৌঁছায়নি। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে তাদের মরদেহ দাফনের কথা রয়েছে।

Comments