রাসেলস ভাইপার ভেবে অজগর পিটিয়ে মারলেন ইউপি সদস্য, আনন্দমিছিল

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে রাসেলস ভাইপার ভেবে একটি অজগর সাপ পিটিয়ে মেরেছেন ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য। পরে মৃত ওই সাপটি নিয়ে এলাকায় আনন্দ মিছিলের ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
মেরে ফেলা সাপ নিয়ে ফটোসেশন। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে রাসেলস ভাইপার ভেবে একটি অজগর সাপ পিটিয়ে মেরেছেন ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য। পরে মৃত ওই সাপটি নিয়ে এলাকায় আনন্দ মিছিলের ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

গতকাল সোমবার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের বালুগ্রাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

অজগরটি পিটিয়ে মারা চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুসলিম উদ্দিন জানান, নৌকায় করে বাড়ি ফেরার সময় সাপটি দেখতে পান তিনি। সাপ দেখে সেখানে অনেকে ভিড় করলেও অন্য কেউ এটি মারতে সাহস করেননি। পরে তিনি নিজেই সাপটি নামিয়ে পিটিয়ে মারেন।

পরে মৃত সাপটি নিয়ে স্থানীয় যুবকদের ফটোসেশন ও আনন্দমিছিলের কথাও জানা যায় এই ইউপি সদস্যের কাছ থেকে।

এই জনপ্রতিনিধির দাবি, সাপটি যে আজগর সেটা তিনি বুঝতে পারেননি।

তীব্র বিষধর রাসেলস ভাইপার স্থানীয়ভাবে চন্দ্রবোড়া ও উলুবোড়া নামেও পরিচিতি। সাপটি দেখতে অনেকটা অজগরের বাচ্চার মতো। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতে কাজ করতে এসেছিলেন স্কটিস সার্জন প্যাট্রিক রাসেল। ১৭৯৬ সালে তিনি এই সাপ সম্পর্কে গবেষণা করেন। তার নাম অনুসারে এই সাপের নামকরণ করা হয়।

বাংলাদেশে ২০০২ সালে প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক জোট আইইউসিএন রাসেলস ভাইপারকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে। সাপটি মূলত শুষ্ক অঞ্চলের; বিশেষ করে বরেন্দ্র এলাকার বাসিন্দা হলেও এখন উপকূলীয় এলাকার কয়েকটি জেলাসহ অন্তত ৩৫টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টরা। আর প্রায়ই এসব এলাকা থেকে রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মৃত্যুর খবর আসছে। ফলে সাপটি নিয়ে জনপরিসরে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি সেই পরিমাণ ভয় ও আতঙ্কও তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় সাপটি পিটিয়ে মেরে ফেলার খবরও পাওয়া যাচ্ছে।

কিন্তু বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী, সাপ সংগ্রহ ও মেরে ফেলা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

দেওয়ানগঞ্জের ঘটনাটি নিয়ে চুকাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, 'তারা সাপটি মেরে ভুল করেছেন।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus urges young people to engage more in politics

Yunus made the call when a group of young political activists from different political parties of Norway called on him at the state guest house Jamuna today

23m ago