সাফারি পার্কের ৩ লেমুর চুরি: ১৫ দিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি পুলিশ

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় সাফারি পার্ক থেকে একসঙ্গে তিনটি লেমুর চুরির ১৫ দিন পার হলেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনি পুলিশ।
কর্তৃপক্ষের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) মামলা হিসেবে রুজু করেনি থানা।
আজ মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে বণ্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসীম কুমার মল্লিকের কথা হয়।
তিনি জানান, এই তিনটি ছিল শেষ লেমুর, বাংলাদেশে আর এই প্রাণীর অস্তিত্ব নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রাণীর সঙ্গে দুটি লেমুর উদ্ধার করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে সেগুলো অন্য দেশে পাচার করা হচ্ছিল। লেমুর দুটিকে সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়। উদ্ধার করা লেমুর দুটির মধ্যে একটি ছিল মাদি ও অন্যটি মদ্দা। ওই বছরের ২৭ নভেম্বর লেমুর দম্পতির ঘরে দুটি শাবক জন্ম নেয়। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি লেমুরের মৃত্যু হয়। এরপর সেখানে তিনটি লেমুর ছিল।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, গত ২৩ মার্চ দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা পার্কের বেষ্টনীর নেট কেটে তিনটি লেমুর চুরি করে। সেই আলামত এখনো রয়েছে।
'আমরা আশেপাশে খুঁজেছি। আমি ২৪ তারিখ থানায় জিডি করেছি। থানা এখনো মামলা রুজু করেনি। পুলিশ এখনো তদন্তে আসেনি। তারা কখন তদন্ত করবে জানি না,' বলেন রফিকুল।
তিনি আরও বলেন, 'মামলা রুজু করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বন কর্মকর্তার মাধ্যমে গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) বলা হয়েছে। সব দিক থেকে আমরা চেষ্টা করেছি।'
এ ঘটনায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, জানান তিনি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৫ আগস্টের পরে পার্কে দুইবার চুরি হয়েছে। তার আগেও হয়েছে। পার্কের সীমানা প্রাচীর নিচু, নেট কেটে চুরি করা সহজ। নিরাপত্তা প্রহরী নেই। ৫ আগস্টের পরে সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেছে।
পার্কে বিভিন্ন জাতের এক হাজার ৩০০টির বেশি প্রাণী রয়েছে। যে কোনো সময় অন্য প্রাণী চুরি হতে পারে, আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মণ্ডল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পার্কটির কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সেটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।'
পুলিশ কেন ঘটনাস্থলে যায়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।'
Comments