চট্টগ্রামে ২ হাজার ৯৭৬ কেজি পলিথিন জব্দ, ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা
চট্টগ্রাম নগরীর একাধিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নিষিদ্ধ ঘোষিত ২ হাজার ৯৭৬ কেজি পলিথিন জব্দ ও ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার নগরীর জেল রোড, আছাদগঞ্জ, রিয়াজউদ্দিন বাজার, চাকতাই ও বাকলিয়া এলাকায় দুপুর ২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন।
অভিযানে চান্দগাঁও সার্কেলের এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা জেল রোডের অন্তত ১০টি দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। একটি গোডাউনের তালা ভেঙে প্রায় ২ টন পলিথিন জব্দ করা হয়। অভিযান টের পেয়ে গোডাউন মালিক যাওয়ায় গোডাউনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম.এন. জামিউল হিকমা ৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ এবং মাহফুজ সালাম ও মো. আব্দুর রহমান নামে ২ জনকে ৩ হাজার করে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদের নেতৃত্বে নগরীর আছাদগঞ্জ, চাকতাই ও বাকলিয়া এলাকায় ৭টি কারখানা ও ২০টি মজুতকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এদের মধ্যে বিসমিল্লাহ পলি ইন্ডাস্ট্রিজ, সামরিন এন্টারপ্রাইজ, শাহজালাল প্যাকেজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং, মিজান পলিথিন মার্ট, যমুনা পলি, প্রাইম পলি, চিটাগং এক্সেসরিজ অন্যতম।
পলিথিন মজুদ রাখায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ৩৭৬ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ড্রেনেজ সিস্টেম না থাকায় পলিথিনসহ নগরীর প্রায় ৭০ লাখ বাসিন্দার বর্জ্য ৩৬টি খালের মাধ্যমে সরাসরি কর্ণফুলী নদীতে পড়ে। চট্টগ্রাম ওয়াসার হিসাবে প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখ লিটার গৃহস্থালি বর্জ্য, কয়েকশ টন শিল্প কারখানার কেমিক্যাল পড়ে এ নদীতে।
চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা কমিটির তথ্য মতে, প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ টন পলি গিয়ে পড়ে এই নদীতে। মানুষের বর্জ্য, পলিথিন ও পলি মিলে কর্ণফুলী নদীতে প্রায় ৬ থেকে ১০ মিটার পলিথিনের স্তর পড়ার কথা জানিয়েছে পরিবেশবিদরা।
Comments