সাগরের নীল নয়, তরল বর্জ্য!

খালের মাধ্যমে ইপিজেডের এই বর্জ্য সরাসরি পড়ছে বঙ্গোপসাগরে। এতে বিপন্ন হয়ে পড়ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য।
ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

ছবিতে পানির এই রঙকে সমুদ্রের নীল বলা যাবে না। চট্টগ্রাম ইপিজেডের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের অপরিশোধিত তরল বর্জ্য মিশে এমন রঙ ধারণ করেছে পানি।

খালের মাধ্যমে ইপিজেডের এই বর্জ্য সরাসরি পড়ছে বঙ্গোপসাগরে। এতে বিপন্ন হয়ে পড়ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য।

দেশের ইপিজেডগুলোর ব্যবস্থাপনাকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) অধীনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চিটাগং ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টস লিমিটেড (সিডব্লিউটিপিএল) চট্টগ্রাম ইপিজেডের কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারটি পরিচালনা করে। চট্টগ্রাম ইপিজেডের ১৩১টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ইউনিটসহ ১৪৭টি কারখানা ওই ইটিপির সঙ্গে যুক্ত।

গত ১০ জুলাই অপরিশোধিত অবস্থায় বর্জ্য ছেড়ে পরিবেশের ক্ষতি করায় এই বর্জ্য পরিশোধনাগারকে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এর আগে একই কারণে গত বছরের ১০ নভেম্বর সিডব্লিউটিপিএলকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে দূষণের এই ছবিটি তুলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী রাজিব রায়হান।

Comments