দূষণে আমরা আতঙ্কিত: হাইকোর্ট

‘পরিবেশ অধিদপ্তর ঘুষ নিয়ে অবৈধ ইটভাটাগুলোকে লাইসেন্স দিয়ে পরিবেশ দূষণে ভূমিকা রাখছে।’
দূষণে আমরা আতঙ্কিত: হাইকোর্ট
সুপ্রিম কোর্টের ফাইল ছবি

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, 'দূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। এই অফিসের কি কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে? দেশের নদ-নদী দূষিত, বায়ু দূষিত এবং ঢাকার অবস্থা আরও খারাপ, তাই আমরা আতঙ্কিত।'

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদের করা এক রিট আবেদনের শুনানিতে এ কথা বলে আদালত।

আবেদনে এইচআরপিবি বলেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের মাধ্যমে অবৈধ ইটভাটার মালিকদের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে সংগঠনটি। 

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতকে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ঘুষ নিয়ে অবৈধ ইটভাটাগুলোকে লাইসেন্স দিয়ে পরিবেশ দূষণে ভূমিকা রাখছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণ রোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শুনানি শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ।

Comments