বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, আগামী সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

আন্দামান ও তৎসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গত ২৪ ঘণ্টায় শক্তিশালী হয়েছে এবং আগামী ৭২ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত জলীয়বাষ্পের ছবি। লাল বৃত্তকে কেন্দ্র করে তার চারপাশে মেঘের ঘূর্ণন সৃষ্টি হয়েছে। যা হলুদ বৃত্ত দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। ছবিটি আজ ২০ অক্টোবর দুপুর দেড়টায় তোলা। ছবি: সংগৃহীত

আন্দামান ও তৎসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গত ২৪ ঘণ্টায় শক্তিশালী হয়েছে এবং আগামী ৭২ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেলগুলোর তথ্যমতে নিম্নচাপটি আগামী সপ্তাহে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের উপর দিয়ে অতিবাহিত হতে পারে। যার ফলে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপটি আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজই সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আগামী ২২ তারিখের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।'

নিম্নচাপটি সাইক্লোনে রূপ নিবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'লঘুচাপটি যদি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে আরও শক্তিশালী হয় তবে একটা সম্ভাবনা আছে। তবে এত আগেই সেই সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।'

তবে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্য কানাডার সাসক্যাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, লঘুচাপটি ইতোমধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার গতি ঘণ্টায় ৪১ থেকে ৫২ কিলোমিটারে উঠেছে।

তিনি বলেন, 'নিম্নচাপটি আগামী ২৩ তারিখের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। প্রবেশের সময় নিম্নচাপটির কেন্দ্র যদি বরিশাল, খুলনার উপর অবস্থান করে তবে এই অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ তারিখ যেহেতু অমাবশ্যা সেই কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। উপকূলীয় অঞ্চলে এই সময় (২৪ ও ২৫ অক্টোবর) ৫ থেকে ৮ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা যেতে পারে।'

যেসব মৎস্যজীবীরা সাগরে মাছ ধরেন, তাদেরকে ২২ তারিখের আগেই সাগর থেকে ফিরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ। সেই সঙ্গে এসব এলাকার চাষিদের আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ তারিখে জমিতে সার প্রয়োগে না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

Comments