ঘন কুয়াশা, তীব্র শীত থাকবে আরও ৩-৪ দিন

স্টার ফাইল ছবি

গত দুই দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা মৃদু শৈত্য প্রবাহ আরও তিন-চার দিন অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে ঘন কুয়াশার চাদর। আগামী ৬-৭ জানুয়ারি দেশের বিভিন্ন এলাকায় হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ জানান, বৃষ্টি হওয়ার পরই তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

তিনি জানান, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারির মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।

গতকাল সকালে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দেশে সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে উত্তরের দুই বিভাগ রংপুর ও রাজশাহীতে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের পশ্চিমাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, জানুয়ারিতে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে।

শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে।

ঘন কুয়াশার কারণে আকাশপথে চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে।

পঞ্চগড়ের স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, প্রায় পরিষ্কার আকাশ থাকায় হিমালয়ের দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাস উত্তরের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

এসব এলাকায় আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া একই রকম থাকবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকা তাপমাত্রাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Russia warns strike on Iran's Bushehr nuclear plant could cause 'Chernobyl-style catastrophe'

Iran and Israel traded further air attacks on Thursday as Trump kept the world guessing about whether the US would join Israel's bombardment of Iranian nuclear facilities.

19h ago