আবারো বেড়েছে কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ, কারওয়ান বাজারে আজ কেজি ৩৬০ টাকা

মরিচ
ছবি: সুমন আলী/স্টার

কাঁচা মরিচের দাম কমার ২ দিন পর আবারো বেড়ে গেছে। আজ বুধবার কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায়।

অস্বাভাবিকভাবে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার পর গত সোমবার বাজারে ভারতের আমদানি করা কাঁচা মরিচ আসে। সেদিন মরিচের দাম কমে ১৫০ টাকায় নামে। এর আগের দিন রোববার মরিচের কেজি ছিল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। তার আগে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকা পর্যন্ত কারওয়ান বাজারে বিক্রি হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়।

আজ হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের মরিচের আমদানি কম হয়েছে। তাছাড়া ভারতেও মরিচের দাম বেশি। আর দেশে তেমন মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারণে দাম বেড়ে গেছে।

কারওয়ান বাজারের মরিচ ব্যবসায়ী মো. হাদিস মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মূলত ভারত থেকে কম আসায় মরিচের দাম আজ হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। দাম বাড়ায় ক্রেতারা কিনছেন না। ফলে লোকসান দিয়ে বিক্রি করছি।'

একই কথা বলেন আরেক মরিচ ব্যবসায়ী হিলাল মিয়া। তিনি বলেন, 'আমাদের কেনা পড়েছে ৩৭০ টাকায়। ১০ টাকা প্রতি কেজিতে খরচ আছে। কিন্তু আজ বিক্রি করছি ৩৬০ টাকায়। কারণ মানুষ কিনছেন না। আর মরিচ তো বেশি দিন রাখা যায় না। আমদানি কম হওয়ায় আজ দাম বেড়েছে।'

পাইকারি মরিচ বিক্রেতা মো. আল আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ মোকামে মরিচ কম। স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ৩০০ টাকার ওপরে কেনা পড়ছে। অন্যান্য খরচ তো আছেই। আগামীকাল খুচরা পর্যায়ে ৩৫০ টাকার নিচে এই মরিচ বিক্রি করলে লোকসান হবে।'

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ৪৮ হাজার ৩৮০ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ পর্যন্ত আমদানি হয়েছে প্রায় ৪১০ মেট্রিক টন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক রাসেল আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমদানি শুরু হওয়ায় ভারতে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। এ জন্য আমদানি করা কাঁচা মরিচের দামও বেশি। আর অতি খরা ও অতি বৃষ্টির কারণে দেশীয় মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। তাই মরিচের দাম একটু বেশি।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Iran's Khamenei rejects Trump's call for unconditional surrender

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

19h ago