যশোর

এই শীতে বয়স্ক রোগীরাও হাসাপাতালের মেঝেতে

শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে যশোরের হাসপাতালগুলোতে। বেশিরভাগ রোগী ভর্তি হচ্ছেন শ্বাসকষ্ট, জয়েন্টে ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে। যাদের বেশিরভাগই বয়স্ক রোগী।  
এই শীতে বয়স্ক রোগীরাও হাসাপাতালের মেঝেতে
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, যশোর। ছবি: স্টার

শীতের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে যশোরের হাসপাতালগুলোতে। বেশিরভাগ রোগী ভর্তি হচ্ছেন শ্বাসকষ্ট, জয়েন্টে ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে। যাদের বেশিরভাগই বয়স্ক রোগী।  

যশোরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন অর্ধশতাধিক বয়স্ক রোগী।   

যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, গত ৭ দিনে হাসপাতালে ৬৪ জন বয়স্ক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ ও ২৫ জন নারী।

এ ছাড়া সোমবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পুরুষ ও নারী মেডিসিন ওয়ার্ডে ঠান্ডাজনিত রোগে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। চিকৎিসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৬ জন। এ ছাড়া ৫২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন বহির্বিভাগ থেকে। এ ছাড়া দুটি মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন ৭১ জন।

বর্তমানে হাসপাতালের কোনো বেড খালি নেই। কনকনে ঠান্ডায় রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে। 

মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন হাসি বেগম (৫০) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ৩ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বেড পাননি। ক্লিনিকে চিকিৎসা করার সামর্থ না থাকায় ঠান্ডায় হাসপাতালের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। ঠান্ডা মেঝেতে থেকে তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

৬৫ বছর বয়সী রোগী মিনহাজ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত দুদিন ধরে ঠান্ডা-জ্বর ও কাশি নিয়ে হাসপাতালের ১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি আছি। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার জন্য চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, খাবার দেওয়া হচ্ছে নাকে নল দিয়ে। সঙ্গে চলছে ইনজেকশন ও স্যালাইন।'

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্তমানে শীতের মধ্যে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্ক রোগীদের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে এত বেশি রোগী যে বেড সংকট দেখা দিয়েছে।'   

তিনি বলেন, 'যাদের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রকট, তাদের সব সময় গরম কাপড় পরিধান করা, গরম পানি পান ও ব্যবহার করতে হবে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘরের বাইরে যাওয়া কোনোমতেই উচিত নয়।'

 

Comments