ক্রেমলিনে আয়োজিত এই বৈঠকে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ইসরায়েল নিরন্তর মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভাজনের বীজ বপন করে চলেছে। মুসলিম দেশগুলোর সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চায় ইসরায়েলি শাসক।
সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ওয়াশিংটন ও তেহরান বেশ কয়েক দফা আলোচনা ও দরকষাকষিতে অংশ নেয়। কিন্তু এই উদ্যোগে বাদ সাধে ইসরায়েল।
গাজা-যুদ্ধকে মধ্যপ্রাচ্যে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘মূল বাধা’ হিসেবে উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়, এই সংঘাতের অবসান না হলে আরব বিশ্বের বন্ধুভাবাপন্ন দেশগুলোর সমর্থন হারাবে ইসরায়েল।
ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গে প্রায় দুই সপ্তাহের যুদ্ধে দেশটির অন্তত ৯৩৫ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন।
বিচারকদের সামনে এক রুদ্ধদ্বার শুনানিতে উপস্থিত হয়ে নেতানিয়াহু, ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ও মোসাদ প্রধান যুক্তি দেন। তারা জানান, কী কারণে নেতানিয়াহুর সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখা উচিত।
বিচার বিভাগের মুখপাত্র আসগর জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী, এভিন কারাগারের হামলায় ৭১ জন নিহত হয়েছেন।’
হামলা-পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে ১২ দিনের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল ও ইরান।
হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমাতজিয়া বারাম এক সাক্ষাৎকারে যুক্তি দেন, ইসরায়েলকে যথেচ্ছা হামলার সুযোগ দেওয়ায় সিরিয়ার নবগঠিত সরকারের উপকার হয়েছে।
ইরানের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যেকোনো আগ্রাসনের জন্য চরম মূল্য দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইসরায়েলি সমরবিদরা শুরু থেকেই একটি স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধের পরিকল্পনা করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার ওপর আঘাত হানা, দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়ানো নয়।
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে মার্কিন হামলাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমায় পরমাণু বোমা হামলার সঙ্গে তুলনা করেন ট্রাম্প।
ইরান এখনো দাঁড়িয়ে আছে, ভবিষ্যতেও সবলে দাঁড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
প্রতি বছরই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে লাখো কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা পেয়ে থাকে ইসরায়েল। এমন কী, ইরান থেকে ধেয়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার ক্ষেত্রেও যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিয়েছে—এমন অভিযোগও এসেছে।
নুরনিউজ জানায়, সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে পাস হলেও এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল।
‘যুদ্ধবিরতি’ ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশল বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত রোববার যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, ইস্পাহান ও নাতাঞ্জের পরমাণু পরিশোধন স্থাপনায় হামলা চালায়।