কুমার নিবিড়ের ব্রেনের এমআরআই সম্পন্ন, শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি

‘নিবিড়ের যে আত্মীয় হাসপাতালের ভেতরে আছেন, ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন, তার সঙ্গে আমার আজ সন্ধ্যার (টরন্টো সময়) পর কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, নিবিড়ের শারীরিক অবস্থা গতকালের চেয়ে কিছুটা ভালো।’
কুমার নিবিড়
কানাডার টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া নিবিড়ের গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

টরন্টোয় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত কুমার নিবিড়ের মস্তিষ্কে এমআরআই সম্পন্ন হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে আশঙ্কামুক্ত নয়, আইসিইউতেই আছেন।

আজ শুক্রবার নিবিড়ের মা নাঈমা সুলতানার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বরাত দিয়ে কানাডাপ্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, নিবিড়কে টিউবের মাধ্যমে সামান্য তরল খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

হাসপাতালে থাকা সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের কাকাতো ভাই অভিজিৎ দের বরাত দিয়ে কানাডার নন্দন টিভির স্বত্বাধিকারী নীল উৎপল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিবিড়ের বেসিক হেলথ প্যারামিটার পালস, প্রেসার, টিসি, ডিসি, ইএসআর প্রায় স্বাভাবিক। পেটে আঘাতজনিত ক্ষরণের কারণে হোয়াইট ব্লাড সেল বেশি। এজন্য অপারেশন লাগবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আগামীকাল (কানাডার সময়) কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থা খুলে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। যাতে সে স্বাভাবিক শ্বাস নিতে পারে। কুমার বিশ্বজিৎ ও তার পরিবার সবাইকে দোয়া করতে বলেছেন।'

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিজিৎ দে এক পোস্টে লিখেছেন, 'সবাই নিবিড় বাবার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। সে একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছে।'

নিবিড়ের বাবা কুমার বিশ্বজিৎ ও মা নাঈমা সুলতানা বর্তমানে সেখানে আছেন।

গত সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার খান, অ্যাঞ্জেলা বারৈ ও আরিয়ান দীপ্ত নিহত হন। এ ঘটনায় কুমার নিবিড় গুরুতর আহত হন।

তারা ৪ জনই হাম্বার কলেজের শিক্ষার্থী।

এর আগে সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর জানিয়েছিলেন, নিবিড় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িটি খুব দ্রুতগতিতে চলছিল। এটি এক হাইওয়ে থেকে আরেক হাইওয়েতে উঠার সময় টার্ন নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সেখানে একটু কার্ভ ছিল। হাইওয়ের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে গাড়িটি ৩ বার উল্টে যায়।

তিনি বলেন, 'গাড়িতে আগুন ধরে যায়। ফায়ার ব্রিগেড স্বল্প সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে না পৌঁছলে বডি পাওয়া যেত না। পুরো ছাই হয়ে যেত।'

টুইটারে ভিডিও পোস্টে কানাডার অনটারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশের সার্জেন্ট কেরি স্মিত বলেছিলেন, 'গাড়ির পেছনের আসনে যারা ছিলেন তাদেরকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। সামনে চালকের পাশের আসনে থাকা নারীকে ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।'

Comments