‘প্রশান্ত মহাসাগরকে ফায়ারিং রেঞ্জ করব কিনা নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের ওপর’
উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূল থেকে আরও ২টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরকে 'ফায়ারিং রেঞ্জ' হিসেবে ব্যবহার করবে কিনা তা নির্ভর করবে মার্কিন বাহিনীর আচরণের ওপর।
আজ সোমবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া জাপানের পশ্চিম উপকূলের কাছে সাগরে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) নিক্ষেপের মাত্র দুদিন পর যুক্তরাষ্ট্র রোববার দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সঙ্গে পৃথকভাবে যৌথ বিমান মহড়া চালিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, তারা একাধিক রকেট লঞ্চার থেকে ২টি প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করেছে। যা ৩৯৫ কিলোমিটার (২৪৫ মাইল) এবং ৩৩৭ কিলোমিটার (২০৯ মাইল) দূরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, এটি কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের একটি মাধ্যম, যা শত্রুর বিমানঘাঁটিকে 'পঙ্গু' করতে সক্ষম।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের বোন কিম ইয়ো জংয়ের কাছ থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে উত্তর কোরিয়ার 'ফায়ারিং রেঞ্জ' বলে যে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, তা সম্ভবত মার্কিন ভূখণ্ড গুয়ামের দিকে আরও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরিকল্পনার ইঙ্গিত হতে পারে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে উৎক্ষেপণ করা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার ও ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, তিনি এই পরীক্ষার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের অনুরোধ জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে 'উসকানি' হিসেবে আখ্যায়িত করে নিন্দা জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়োলের কার্যালয় জানিয়েছে, তারা এগুলো নিয়ে পর্যালোচনা এবং পাল্টা ব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সর্বশেষ আইসিবিএম এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ৪ ব্যক্তি এবং ৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
Comments