ক্ষমতায় এলে সেনাপ্রধানকে পদচ্যুত করা হবে না: জামিন আদেশের পর ইমরান খান
জামিনের পর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, তিনি ক্ষমতায় এলে সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনিরকে পদচ্যুত করা হবে না।
আজ শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে জামিন আদেশের পর সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে কোর্টরুমে এ কথা বলেন তিনি।
ডন জানায়, সাংবাদিক মুর্তজা আলী শাহ টুইটারে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেখানে এক সাংবাদিক ইমরান খানকে বলেন, 'শেষ পর্যন্ত মনে হচ্ছে আপনার লড়াই নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে।'
উত্তরে তিনি বলেন, 'আমার লড়াই নিরাপত্তা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে নয় বরং একজন ব্যক্তির, যিনি সেনাপ্রধান, যার কারণে সেনাবাহিনী অপমানিত হচ্ছে তার বিরুদ্ধে।'
সেনাবাহিনীতে গণতন্ত্র নেই। এই মুহূর্তে যা ঘটছে তাতে সেনাবাহিনীর বদনাম হচ্ছে এবং দুঃখের বিষয় যে ঘটনাগুলো ঘটেছিল যখন আমি ভেতরে ছিলাম, আমি পরে জানতে পেরেছি, একজন ব্যক্তির কারণে সেনাবাহিনী অপমানিত হচ্ছে,' বলেন তিনি।
ইমরান খান আরও বলেন, 'তিনি মনে করেন আমি ক্ষমতায় এলে তিনি তার পদ হারাবেন। কিন্তু আমি এমন কিছুই করব না।'
ভিডিওতে তাকে জামিন দেওয়ার জন্য জনগণের পক্ষ থেকে দেশের বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
গ্রেপ্তারের সময় মাথায় আঘাত করা হয়েছিল
আজ শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে ইমরান খান সাংবাদিকদের জানান, গ্রেপ্তার করার পর ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) সদস্যরা তার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছেন। তবে গ্রেপ্তার করার সময় তার মাথায় আঘাত করা হয়েছিল।
আদালত চত্বরে ইমরান আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রথমে স্ত্রী বুশরা বিবির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। তিনি বলেন, 'আমি এনএবি সদস্যদের অনুরোধ করেছিলাম, তারা যেন আমাকে স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেন। পরে ল্যান্ডফোনে বুশরার সঙ্গে কথা বলতে দেন তারা।'
গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকেই ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করেন এনএবির সদস্যরা। এতে রেঞ্জার্স সদস্যদের সহায়তা নিয়েছিলেন তারা।
ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ হয়। এতে অন্তত ৮ জন নিহত ও বহু হতাহত হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, 'আমি আগেই আপনাদের বলেছিলাম যে আমাকে গ্রেপ্তার করা হলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হবে। তাই যা হয়েছে, সেটা আমি কীভাবে থামাব?
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী উল্টো সাংবাদিকদের প্রশ্ন করেন, 'আমি কারাগারে থাকার সময় যা ঘটেছে, তার জন্য আমি কীভাবে দায়ী হব?'
এক ভিডিওতে ইমরানকে বলতে শোনা যায়, 'আমি হাইকোর্টে বসেছিলাম। সেখানে থাকতে আমাকে গ্রেপ্তারের কোনো কারণই ছিল না। আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল।'
ইমরান খান আরও বলেন, 'কারাগারে নেওয়ার পর তারা (এনএবি) আমাকে প্রথম গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখায়। পুলিশ কোথায় গেল? আইন কোথায় গেল? বুনো আইনে কিংবা সেনাবাহিনী কর্তৃক জোর করে তুলে নিলে এমনটা হয়।'
Comments