পাকিস্তানি সেনারা ‘শত্রুকে’ ধ্বংস করতে প্রস্তুত: শেহবাজ শরিফ

শেহবাজ শরিফ। ফাইল ফটো

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, তাদের সেনাবাহিনী শত্রুকে ধ্বংস করতে এবং শত্রু বিমান সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত ছিল।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন জানিয়েছে, ভারত-পাকিস্তান চলমান উত্তেজনার মধ্যে আজ বুধবার দুপুরে সংসদের অধিবেশনে এ কথা বলেন শেহবাজ।

তিনি বলেন, 'পাঁচ দিন আগে ভারত রাফায়েল যুদ্ধবিমান কেনার জন্য আনন্দ করছিল। এই জেট বিমানগুলো যখন যুদ্ধ করতে ওড়ানো হলো, আমাদের বিমান বাহিনীও তখন প্রস্তুত ছিল।'

বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ভারত রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানে 'কাপুরুষোচিত' হামলা করেছে। কিন্তু পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রতিউত্তর দিয়েছে।

এরপর তিনি বিমানবাহিনী প্রধান জহির বাবরকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। 

তিনি বলেন, 'ভারতের ৮০টি বিমান গত রাতে পাকিস্তানের ছয় শহর লক্ষ্য করে হামলা চালায়। কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিলাম।'

'পাকিস্তানি বিমান ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। কিন্তু তারা তিনটি রাফালসহ মোট পাঁচটি বিমান ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। এর মধ্যে দুটি বিমান অধিকৃত কাশ্মীরে এবং একটি ভারতের বাথিন্ডায় পড়েছে,' বলেন তিনি।

'দুটি ড্রোনও ভূপাতিত করা হয়েছে,' বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

'যারা বলত ভারত প্রচলিত যুদ্ধে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দিয়েছে, তারা এখন জানে আমরা কী, তা পারমাণবিক যুদ্ধ হোক বা প্রচলিত যুদ্ধ,' বলেন তিনি।

শেহবাজ বলেন, 'শত্রুরা গত রাতে ঘুমাতে পারেনি। আর আমাদের বন্ধুরা বুঝতে পেরেছে যে তারা তাদের কঠিন সময়ে পাকিস্তানের কাছে সাহায্য চাইতে পারে এবং পাকিস্তানের জন্য এর চেয়ে সম্মানজনক আর কিছু হতে পারে না।'

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর ভারত 'অপারেশন সিঁদুর' নামে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

পাকিস্তানের আইএসপিআর জানিয়েছে, ছয়টি এলাকায় হামলার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় মোট ২৬ পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন।

পরে উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ শুরু হলে ভারতের অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে বলে এএফপি জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam, associates laundered money thru shell firms

Mohammed Saiful Alam and his family have acquired vast wealth at home and abroad, using money siphoned off through loans taken in the name of front companies

10h ago