মালি থেকে সব শান্তিরক্ষীকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ
![মালি থেকে সব শান্তিরক্ষীকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ মালিতে শান্তিরক্ষী বাহিনী](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2023/06/17/maalite_shaantirkssii_baahinii.jpg?itok=LesIgRoa×tamp=1686981564)
মালি থেকে শান্তিরক্ষী বাহিনী দ্রুত সরিয়ে নিতে জাতিসংঘকে নির্দেশ নিয়েছে দেশটির অন্তর্বর্তী সামরিক সরকার।
গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘ ও মালি সরকারের সঙ্গে 'বিশ্বাসের ঘাটতির কারণে' সেখানে প্রায় ১০ বছর ধরে থাকা শান্তিরক্ষী বাহিনীকে 'কোনো সময় নষ্ট না করে' সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালে সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মালির তৎকালীন সরকার ব্যর্থ হলে দেশটিতে স্থিতিশীলতার জন্য জাতিসংঘ ২০১৩ সালে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠায়।
২০২০ ও ২০২১ সালে মালিতে অভ্যুত্থানের পর ক্রমবর্ধমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক সরকারের সঙ্গে শান্তিরক্ষী ও ফ্রান্সসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয়।
মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলাই দিওপ ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত, শান্তিরক্ষী বাহিনীই এখন আন্তঃসম্প্রদায় সংঘাত উসকে দেওয়ার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। শান্তিরক্ষী বাহিনী এখন সমস্যা।'
'মালির জনগণ, সরকার ও শান্তিরক্ষী বাহিনীর মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। তাই মালি সরকার কোনো সময় নষ্ট না করে শান্তিরক্ষী বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে।'
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, মালির সামরিক সরকার পশ্চিমের মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে ঐতিহ্যগত সম্পর্ক ছিন্ন করে সামরিক সহযোগিতার জন্য রাশিয়ার দিকে হাত বাড়িয়েছে।
মালিতে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদের সংগঠন ভাগনার গ্রুপের উপস্থিতি বেড়ে যাওয়া পশ্চিমের দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গতকাল জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, 'শান্তিরক্ষী মিশন তখনই সফল হয় যখন তারা সেই দেশটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় রক্ষা করে।' তিনি মালির সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রাখার আহ্বানও জানান।
Comments