ভারতের মানবাধিকার ইস্যুতে মোদির সঙ্গে কথা বলতে বাইডেনকে ৭৫ আইনপ্রণেতার চিঠি

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে পৌঁছানোর পর সমর্থকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মানবাধিকার ইস্যুতে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চিঠি পাঠিয়েছেন ৭৫ জন আইনপ্রণেতা।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফর করছেন নরেন্দ্র মোদি।

রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে পাঠানো ওই চিঠিতে যারা সই করেছেন তারা সবাই মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য এবং ডেমোক্রেট পার্টির নেতা।

চিঠিতে তারা ভারতের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা লঙ্ঘন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে রাখা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে সহিংস আচরণের বিষয়ে উদ্বেগ জানান।

সিনেটর ক্রিস ভ্যান হোলেন ও হাউজ অব রিপ্রেজেন্টিটিভের সদস্য প্রমিলা জয়পালের নেতৃত্বে বাইডেনকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, 'আমরা নির্দিষ্ট কোনো ভারতীয় নেতা বা রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। এটি ভারতের জনগণের সিদ্ধান্ত। তবে আমরা সেই গুরুত্বপূর্ণ নীতিগুলোকে সমর্থন করি যা আমেরিকান পররাষ্ট্র নীতির মূল অংশ হওয়া উচিত।'

চিঠিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, 'আমরা আহ্বান জানাই, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকে আপনি উভয় দেশের মধ্যে সফল, শক্তিশালী এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলোর সম্পূর্ণ পরিসর নিয়ে আলোচনা করবেন।'

গত মার্চ মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত মানবাধিকার বিষয়ক বার্ষিক প্রতিবেদনে ভারতে 'উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার ইস্যু' এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের নিয়ে উল্লেখ করা হয়েছিল।

বিজেপির অধীনে দেশটিতে মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় সফরে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। তার এই সফরকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কর্মীরা মনে করেন, এশিয়ার বৃহৎ শক্তি চীনের প্রভাব ঠেকাতে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দুদেশের শীর্ষনেতাদের বৈঠকে ভূরাজনীতির ইস্যু আসলেও মানবাধিকারের ইস্যু তারা এড়িয়ে যেতে পারেন।

বেশ কয়েকটি মার্কিন অধিকার গোষ্ঠী মোদির সফরকালে বিক্ষোভ কর্মসূচিরও পরিকল্পনা করেছে।

তবে বাইডেন মানবাধিকার ইস্যুতে মোদি সঙ্গে আলাপ করবেন কি না এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা বাইডেনের জন্য একটি 'সাধারণ বিষয়'।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago