আন্তর্জাতিক

যে ৬ দেশ ব্রিকসের নতুন সদস্য

'আর্জেন্টিনা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ব্রিকস জোটের পূর্ণ সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই দেশগুলোর সদস্যপদ ২০২৪ এর জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।'
ব্রিকস এর বর্তমান সদস্য দেশগুলোর নেতারা ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। বাম থেকে ডানে: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ। ছবি:
ব্রিকস এর বর্তমান সদস্য দেশগুলোর নেতারা ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। বাম থেকে ডানে: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ। ছবি: রয়টার্স

উন্নয়নশীল দেশের জোট ব্রিকস নতুন ৬টি দেশকে সদস্য হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য 'বৈশ্বিক দক্ষিণ' হিসেবে এই জোটের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করা। 

আজ বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা নতুন দেশগুলোকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দেন। 

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

আয়োজক দেশের প্রেসিডেন্ট রামাফোসা বলেন, 'আমরা আর্জেন্টিনা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ব্রিকস জোটের পূর্ণ সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এই দেশগুলোর সদস্যপদ ২০২৪ এর জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।' 

ব্রিকস জোটের বর্তমান সদস্যরা হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। জোট সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তে আরও বেশ কিছু আগ্রহী দেশের জন্য এতে যোগ দেওয়ার পথ সুগম হল।

ভূরাজনৈতিক মেরুকরণের মাঝে বেইজিং ও মস্কো চাইছে এই জোটকে পশ্চিমের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। 

জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ৩ দিনের এই সম্মেলনের আলোচনার একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল সম্প্রসারণের বিষয়টি। ব্রিকস এর সদস্যরা সবাই এর সম্প্রসারণের পক্ষে মত দিলেও নেতাদের মাঝে কিছু বিষয়, যেমন কত দ্রুত এবং কতগুলো দেশকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, সেটি নিয়ে মতভেদ ছিল। 

বিশ্বের প্রায় ৪০ শতাংশ জনসংখ্যা ব্রিকস সদস্যদেশগুলোতে থাকেন। বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনেরও এক চতুর্থাংশ এই দেশগুলো থেকে আসে। তা সত্ত্বেও, ব্রিকস সদস্য দেশগুলো জোটের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং নিজেদেরকে বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়নি। 

দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ৪০টি দেশ এই জোটে যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে এবং ২২টি দেশ আনুষ্ঠানিক আবেদন জানিয়েছিল। 

 

 

Comments