উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটি, ২ দিন পর ভারত ছাড়লেন ট্রুডো

নয়াদিল্লিতে ট্রুডোকে বিদায় জানান ভারতের কেন্দ্র সরকারের প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলন শেষে গত রোববার কানাডা ফিরে যাওয়ার কথা ছিল দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর।

কিন্তু তাকে বহনকারী উড়োজাহাজটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় সেদিন তিনি ফিরতে পারেননি।

অবশেষে সমস্যা সমাধান হওয়ায় নির্ধারিত সময়সূচির ৪৮ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ভারত থেকে কানাডার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন ট্রুডো।

এনটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার সন্ধ্যায় ট্রুডোর কানাডা ফেরার নির্ধারিত সময়সূচির আগ মুহূর্তে ট্রুডোর উড়োজাহাজটি কারিগরি ত্রুটির কারণে উড্ডয়নের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। 

যান্ত্রিক ত্রুটি সমাধান বা বিকল্প ব্যবস্থার জন্য অপেক্ষমাণ ট্রুডোকে শেষ পর্যন্ত হোটেলে ফিরে যেতে হয়।

পরে দ্বিতীয় আরেকটি উড়োজাহাজ ইতালি হয়ে আজ দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যেই প্রথম উড়োজাহাজটির সমস্যা সমাধান হয়ে যায় এবং তিনি কানাডা ফিরছেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'উড়োজাহাজটির কারিগরি সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। উড্ডয়নের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে..।'

তার উড়োজাহাজটিতে ঠিক কী হয়েছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে গতকাল সোমবার ট্রুডোর কার্যালয় বলেছে, 'বিষয়টি রাতারাতি সমাধানযোগ্য নয়। ... কানাডার সশস্ত্র বাহিনী রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলকে দেশে ফিরিয়ে নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলের পর সম্ভবত তারা রওনা হবেন।'

নয়াদিল্লিতে ট্রুডোকে বিদায় জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (সাবেক টুইটারে) পোস্ট করেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সরকার ও আমার সহকর্মীদের পক্ষ থেকে আমি আজ বিমানবন্দরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মি. জাস্টিন ট্রুডোকে জি২০ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাতে উপস্থিত ছিলাম। তার ও তার সফরসঙ্গীদের নিরাপদ ভ্রমণ কামনা করি।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago