গাজায় চিকিৎসাসামগ্রী পৌঁছাতে জরুরি প্রবেশাধিকার চেয়েছে ডব্লিউএইচও

‘গাজা দীর্ঘমেয়াদী মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে’ উল্লেখ করে সেখানে সহায়তা ও চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহের জন্য জরুরি প্রবেশাধিকার চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজার খান ইউনিস এলাকায় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: রয়টার্স

'গাজা দীর্ঘমেয়াদী মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে' উল্লেখ করে সেখানে সহায়তা ও চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহের জন্য জরুরি প্রবেশাধিকার চেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

আজ মঙ্গলবার রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডব্লিউএইচও'র কর্মকর্তারা এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক বোমাবর্ষণে গাজায় ইতোমধ্যে ২ হাজার ৮০০ জন নিহত এবং ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। যাদের প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু।

বর্তমানে গাজায় প্রবেশ বা বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজায় প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করতে 'সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের' সঙ্গে বৈঠক করেছে ডব্লিউএইচও। 

ডব্লিউএইচও'র কর্মকর্তারা জানান, গাজার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে ১১৫টির মতো হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া, পানি ও বিদ্যুতের অভাবে সেখানকার বেশিরভাগ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজায় পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবার পতনের ফলে পানিশূন্যতা এবং জলবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে উদ্বেগ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

'গাজায় পানি ছাড়া মানুষ মরতে শুরু করবে' বলেও জানিয়েছে ইউএনআরডব্লিউএ।

Comments