নির্বাচন নিয়ে যা বললেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির

‘পাকিস্তানের বৈচিত্র্যময় রাজনীতি ও বহুত্ববাদ সব গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ সরকারের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থে প্রতিফলিত হওয়া উচিত।’
পাকিস্তানের নির্বাচন
সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির। ছবি: পাকিস্তান আইএসপিআর/ফাইল ফটো

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় আগে শেষ হলেও এখনো ১৫ আসনের ফল ঘোষণা হয়নি। ২৬৫ আসনের মধ্যে ২৫২ আসনের প্রাথমিক ফলাফলে ৯৯ আসনে জয় নিয়ে এগিয়ে আছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্ররা।

তবে জোট সরকার গঠনের দিকে যাচ্ছে পিটিআইর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।

বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই সেনাবাহিনীর পছন্দের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ইমরান খানের সামনেও অনেক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছিল। পিটিআইয়ের ক্ষমতা খর্ব করতে সেনাবাহিনী তাদের প্রতিটি 'অস্ত্র' ব্যবহার করেছে। পিটিআইয়ের দলীয় প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট বাতিল করা থেকে শুরু করে ভোটের দিন ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ সবকিছুই তারা করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে আজ শনিবার নির্বাচন নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির। তিনি বলেন, 'পাকিস্তানের বৈচিত্র্যময় রাজনীতি ও বহুত্ববাদ সব গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ সরকারের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থে প্রতিফলিত হওয়া উচিত।'

আইএসপিআরের মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে সৈয়দ আসিম মুনির আরও বলেন, 'নির্বাচন জয়-পরাজয়ের শূন্য-সমষ্টি নয় বরং গণরায় নির্ধারণের একটি মহড়া। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও তাদের কর্মীদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের শাসন ও সেবা করার প্রচেষ্টাকে একত্রিত করা উচিত, যা গণতন্ত্রকে কার্যকরী ও উদ্দেশ্যমূলক করার একমাত্র উপায় হতে পারে।'

তার মতে, 'নির্বাচন ও গণতন্ত্র পাকিস্তানের জনগণের সেবা করার উপায়।'

এ ছাড়া, সফল নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জেনারেল আসিম মুনির পাকিস্তানি জাতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন (ইসিপি), রাজনৈতিক দল ও বিজয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানান।

'ভোটাধিকার প্রয়োগে পাকিস্তানের জনগণের অবাধ ও বাধাহীন অংশগ্রহণ সংবিধানে বর্ণিত গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের অঙ্গীকারকেই তুলে ধরে,' বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি মনে করেন, 'পাকিস্তানের জনগণ যেহেতু সংবিধানের প্রতি তাদের সম্মিলিত আস্থা রেখেছে, এখন রাজনৈতিক পরিপক্বতা ও ঐক্যের সঙ্গে এর প্রতিদান দেওয়া সব রাজনৈতিক দলের কর্তব্য।'

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago