আল-আকসা হাসপাতাল এলাকায় মিনিটে মিনিটে ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৫৫
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/06/08/israeli_genocide_reuters.jpg?itok=_uPw0UQ9×tamp=1717850654)
গাজার মধ্যাঞ্চলে আল-আকসা হাসপাতালের আশপাশে মিনিটে মিনিটে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
আল-আকসা হাসপাতালের মুখপাত্র খলিল আল-দেগ্রান বলেছেন, হামলায় ৫৫ জন নিহত হয়েছে। শত শত আহত মানুষ হাসপাতালে আসার কথাও জানান তিনি।
রাফাহ এলাকায় অবস্থিত কুয়েত স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মরদেহ রাস্তায় পড়ে আছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) এর ডাক্তার তানিয়া হাজ-হাসান বলেন, গাজার প্রধান হাসপাতাল হিসেবে কাজ করার মতো সক্ষমতা আল-আকসা হাসপাতালের নেই। তিনি আল জাজিরাকে বলেন, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। অন্য প্রতিটি হাসপাতাল ইসরায়েলি বাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে।
আল-আকসা হাসপাতালে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমার সহকর্মীরা সেখান থেকে যে চিত্রের কথা জানাচ্ছেন তা এক কথায় 'ভয়াবহ'।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক সহকর্মীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, সেখানে সম্পূর্ণরূপে গণহত্যা চলছে। জরুরি বিভাগ থেকে পাঠানো ভিডিও ফুটেজে সব জায়গায় রক্ত দেখা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ হাজার ৮০১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৬৮০ জন ফিলিস্তিনি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৫০ জন।
অপরদিকে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নোভা মিউজিক ফেস্টিভাল থেকে গাজায় জিম্মি করে নেওয়া চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী (আইডিএফ)।
তারা হলেন, নোয়া আরগামানি, আলমগ মেইর জান, আন্দ্রেই কোজলভ এবং শ্লোমি জিভ।
আইডিএফ জানায়, মধ্য গাজার নুসেইরাতের দুটি পৃথক এলাকায় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
তারা শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন, তবে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাদের ইসরায়েলের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
Comments