শ্রীলঙ্কায় গণবিক্ষোভের পর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা

শ্রীলঙ্কার পতাকা উড়িয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন দেশটির এক নাগরিক। ফাইল ছবি: রয়টার্স (১৬ এপ্রিল, ২০২২)
শ্রীলঙ্কার পতাকা উড়িয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন দেশটির এক নাগরিক। ফাইল ছবি: রয়টার্স (১৬ এপ্রিল, ২০২২)

শ্রীলঙ্কায় নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের জেরে দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ এবং পরবর্তীতে সরকার পতনের পর প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজিত হতে যাচ্ছে।

আজ শুক্রবার দেশটির নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি। সেপ্টেম্বরে এই নির্বাচন আয়োজিত হবে। 

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বদলে এই পদে নিযুক্ত হন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি দেশটির আর্থিক পরিস্থিতির উন্নয়নে অসংখ্য উদ্যোগ নেন। তিনি দেশটিকে দেউলিয়া অবস্থা থেকে বের করে আনতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তার বিপক্ষে অন্তত দুইজন প্রতিপক্ষ লড়বেন বলে বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন।

প্রতিপক্ষরা মূলত আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) বেলআউট ঋণের শর্ত মানতে বিক্রমাসিংহের চালু করা সংস্কার নীতির বিরোধিতা করবেন।

শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশন এক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে ২১ সেপ্টেম্বরের ভোটের জন্য ১৫ আগস্টে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হবে।

যার ফলে, প্রার্থীরা প্রায় পাঁচ সপ্তাহ নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সুযোগ পাবেন।

দেশটি অর্থনৈতিক মন্দা থেকে খানিকটা ঘুরে দাঁড়ালেও এখনো প্রবৃদ্ধি আগের পর্যায়ে ফেরেনি এবং দেশের মানুষ জীবনযাপনের ক্রমবর্ধমান খরচ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

এই নির্বাচনে ১৮ বছরের বেশি বয়সী ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ ভোট দিতে পারবেন।

২০২৩ সালে বিক্রমাসিংহে আইএমএফ থেকে ২৯০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার জন্য যেসব শর্তে রাজি হয়েছিলেন, সেগুলো নিয়ে নতুন করে দরকষাকষি করার অঙ্গীকার জানিয়েছে বিরোধী দলগুলো।

নির্বাচনী প্রচারণায় অর্থনৈতিক সংস্কারের অঙ্গীকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ভাবছেন বিশ্লেষকরা।

২০২২ সালে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। সে বছর শ্রীলঙ্কার জিডিপি এর আগের বছরের তুলনায় সাত দশমিক আট শতাংশ কমে গিয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Can Bangladesh retain its foothold in US market?

As Bangladesh races against a July 9 deadline to secure a lower tariff regime with the United States, the stakes could not be higher.

12h ago